এবার শিক্ষা অফিসার দ্বারা শিক্ষিকা ধর্ষন!

মাদারীপুর প্রতিনিধি,১ মে: মাদারীপুর সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. তোফায়েল হোসেনের বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা  হলেও গ্রেফতার হয়নি সেই শিক্ষা অফিসার।


এদিকে মামলা করার কারণে শিক্ষিকার চাকুরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষা অফিসার তোফায়েল।

মামলার নথি ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে অফিসিয়াল কাজে যান ওই শিক্ষিকা। এসময় ওই শিক্ষিকার কয়েকটি ছবি তুলেন তোফায়েল। ছবি তোলার কারণ জিজ্ঞেস করলে তোফায়েল ওই শিক্ষিকাকে পাশের আরেকটি নির্জন কক্ষে নিয়ে যায়। এ সময় ওই ছবির সাথে অশালীন ছবি যুক্ত করে ইন্টারেনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে কুপ্রস্তাব দেন। পরে জোরপূর্বক ওই শিক্ষিকার শালীলতাহানীর চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তিতে শিক্ষিকার পরিধেয় বোখরা ছিড়ে যায়। এই ঘটনার পরে শিক্ষিকা চিৎকার শুরু করলে তাকে ছেড়ে দেয়।

বিষয়টি মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকে জানানো হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে মঙ্গলবার রাতে মাদারীপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা শিক্ষিকা।

এ ব্যাপারে ওই শিক্ষিকা বলেন, ‘আমার সাথে খারাপ কাজ করলো আবার আমাকেই চাকুরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি ওর বিচার চাই।’

তবে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. তোফায়েল হোসেন। তিনি দারি করেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কেন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেননি।

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। যেহেতু বিষয়টি অফিসিয়ালভাবে মিমাংসা যোগ্য নয় তাই শিক্ষিকা মামলা করেছে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, শিক্ষিকা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। পরবর্তী বিষয় নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত সময়ই আসামী গ্রেফতার হবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।