শিশুদের শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ভারী স্কুলব্যাগ বহন নিষিদ্ধ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।রোববার (০১ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৩৬ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ এ রায় প্রকাশিত হয়।
এর আগে, ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর শিশুদের শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ভারী স্কুলব্যাগ বহন নিষিদ্ধে ছয় মাসের মধ্যে আইন প্রণয়ন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি আইন প্রণয়নের আগ পর্যন্ত শিশুদের ভারী স্কুলব্যাগ বহন করা যাবে না, এ মর্মে ১ মাসের মধ্যে সার্কুলার জারি করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জারি করা রুলের যথাযথ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাসুদ হাসান দোলন।
২০১৫ সালের ১১ আগস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী শিশুদের শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ভারী স্কুলব্যাগ বহন নিষিদ্ধ ও প্রি-প্রাইমারি শিশুদের স্কুলব্যাগ বহন না করতে আইন প্রণয়নের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আইন সচিব, শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পরে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি হয়।
গত ৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের ৩ আইনজীবী বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শিশুদের ভারী স্কুলব্যাগ বহন নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করেন। এ তিন আইনজীবী হলেন- এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, মো. জিয়াউল হক ও আনোয়ারুল করিম।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মাসুদ হোসেন দোলন বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সরকার শিশুদের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ভারী স্কুলব্যাগ বহন না করার একটি নির্দেশনা জারি করেছে। আমাদের সরকারও যেন এরকম একটি আইন করে, এজন্যই এ রিট আবেদন করা হয়।
by