বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সব শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা অক্ষুন্ন রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

এস কে দাস : অষ্টম বেতEknek_ন কাঠামো দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সোমবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রিসভার একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রোববার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত সোমবার (০২ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন অর্থমন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রী তা দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।

রোববার (১ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রণালয়ে আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর আগের নির্দেশনার কথা সাংবাদিকদের জানান অর্থমন্ত্রী। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সব শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা অক্ষুণ্ণ রাখার কথাও জানান। সব ক্যাডারকে গ্রেড-১ এ উন্নীত করার পথ বের করার কথাও নিশ্চিত করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী ওইদিন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে, কারো সুযোগ-সুবিধা কমানো যাবে না। যার যা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, তা প্রটেক্ট করে যদি আরও ভালো করা যায়, তা করতে হবে।
মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, সব ক্যাডারই গ্রেড-১ এ যেতে পারবে। আমরা পজেটিভ সমাধান চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিসভার ওই সদস্য এর পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী দ্রুত তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়, টাইম স্কেল না থাকলেও নির্ধারিত সময়ে ভিন্ন নামে স্কেল পাচ্ছেন সব ক্যাডারের সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ক্যাডার সার্ভেসের শিক্ষকসহ সব শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি মন্ত্রিসভার অনির্ধারিত আলোচনায় উঠে আসে। শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান দেখানো হচ্ছে নতুন এ বেতন কাঠামোয়। শিক্ষককরা এর আগে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে না চাইলেও, এখন দেখা করবেন বলেও জানানো হয় বৈঠকে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে একজন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ১২ লাখ কর্মকর্তার মধ্যে ৭০ জন সচিব। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের যতজন অধ্যাপক ততজন সচিব হবেন। এর চেয়ে আর কী বেশি চাওয়ার আছে শিক্ষকদের? বেতনতো তারা কম পাবেন না। দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী চিকিৎসক ও প্রকৌশলীর যদি নতুন বেতন স্কেল মেনে নিতে পারেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কেনো পারবে না?

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।