প্রাথমিকে পিইসি না হয়ে হবে বার্ষিক পরীক্ষা

সমাপনি পরীক্ষা

ডেস্ক,৩ অক্টোবরঃ
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (পিইসি-ইইসি) পরীক্ষা ডিসেম্বরে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে চলতি বছর সমাপনী এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে এর পরিবর্তে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দ্বায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো খবরঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টাইম স্কেলের ‘ফাঁদে’ ৪১০০ প্রধান শিক্ষক

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পরিবর্তে নিজ নিজ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। কারণ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেয়ার মতো প্রস্তুতি এখনও শুরুই করেনি।

এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে নভেম্বর-ডিসেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একইভাবে ২৮ সেপ্টেম্বর গত বছরের মতো চলতি বছরও অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাদ্রাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হবে না বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, পরীক্ষার বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নাকি নিজ নিজ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হবে, তা বলার এখনও সময় হয়নি।

তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরের পিইসি-ইইসি পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষা নেয়ার জন্য যেসব প্রস্তুতি প্রয়োজন হয়, তা এখনও শুরুই করা হয়নি। এর পরিবর্তে নিজ নিজ স্কুল ও মাদ্রাসায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে।’

অধিদপ্তর সূত্র জানায়, পিইসি পরীক্ষা হয়ে থাকে বছরের নভেম্বর মাসে। করোনার কারণে গত বছর পিইসি-ইইসি পরীক্ষা হয়নি। নিজ নিজ মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করে স্কুল ও মাদ্রাসাগুলো। কেন্দ্রীয়ভাবে না হলেও নিজ নিজ বিদ্যালয় একটি পরীক্ষা নিয়ে মূল্যায়ন করবে। কারণ ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য একটি সার্টিফিকেট শিক্ষার্থীর প্রয়োজন হবে। এছাড়া ওয়ার্কশিটের মাধ্যমে মূল্যায়ন অথবা কিছু নম্বর যোগ করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা চলছে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। এর প্রায় দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু হয়। তবে প্রাথমিকে প্রতিদিন সব শ্রেণিতে ক্লাস হচ্ছে না। এছাড়াও প্রাক-প্রাথমিকে এখনো ক্লাস শুরু হয়নি।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।