IELTS ছাড়াই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষকদের জন্য জাপানের বৃত্তি

Image

প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য বৃত্তি দিবে জাপান সরকার। বাংলাদেশসহ যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তির সময়সীমা দেড় বছর। আবেদনের শেষ সময় ১০ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত।

‘মেক্সট স্কলারশিপ-২০২৪’ টিচার্স ট্রেইনিং কোর্স এর আওতায় নির্বাচিতদের পড়াশোনার কোনো ধরনের খরচ লাগবে না। টিউশন ফি, মাসিক উপবৃত্তি, ভ্রমণ খরচ ও গবেষণা ভাতা প্রদান করা হবে।

আবেদনকারীদের প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিক স্কুলে ন্যূনতম ৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া জাপানি সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকতে হবে।

জাপানের মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন, কালচার, স্পোর্টস, সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (মেক্সট) এ স্কলারশিপের অর্থায়ন কর থাকে। এজন্যই এটি মেক্সট বৃত্তি নামে পরিচিত। জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্কুল শিক্ষার উপর গবেষণা পরিচালনা করতে চান এমন শিক্ষকদের জন্যই এ স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে।

জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম সেরা একটি বৃত্তি হলো ‘মেক্সট স্কলারশিপ’। বিশ্বের প্রায় ১৬০টির মতো দেশ থেকে ছাত্রদের জন্য এ বৃত্তি দেয় জাপান সরকার। জাপান সরকার প্রদত্ত বৃত্তিগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে খ্যাতনামা আর সবচেয়ে সম্মানিত হল ১৯৫৪ সাল থেকে দিয়ে আসা এই বৃত্তিটি।

সুযোগ-সুবিধাসমূহ:
*সম্পূর্ণ টিউশন ফি এবং ভর্তি ফি প্রদান করবে।
*আবেদন ফি নেই।
*আসা-যাওয়ার বিমান খরচ প্রদান করবে।
*শিক্ষার্থীদের আইইএলটিএস বা টোয়েফল স্কোর দেখাতে হবে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা ও পরীক্ষা হয়েছে, সেটির প্রমাণ লাগবে।

আবেদনের যোগ্যতা:
* বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
* ১৯৮৯ সালের ২ এপ্রিলের পর জন্মগ্রহণকারীরা আবেদনের যোগ্য।
* আবেদনকারীদের প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিক স্কুলে ন্যূনতম ৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
* বর্তমানেও প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিক স্কুলে কর্মরত রয়েছেন এমন।
* জাপানি সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকতে হবে।
* প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে আসার ইচ্ছা থাকতে হবে।
*প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিশিয়েন্সির ওপর প্রাধান্য দেওয়া হবে।
*সংশ্লিষ্ট সার্টিফিকেট, নম্বরপত্র, পাসপোর্ট অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র, আইইএলটিএস/টোয়েফল স্কোরশিট (যদি থাকে), শিক্ষকতার প্রত্যয়নপত্র ও অভিজ্ঞতার সনদ, অন্যান্য ডকুমেন্টসহ আবেদন করতে হবে।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে ভর্তির জন্য আসনপ্রতি ৪৭ আবেদন, কোন ইউনিটে কতটি

আবেদন প্রক্রিয়া:
অনলাইনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত লিংক ব্যবহার করে আবেদন করতে হবে। ১০ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত লিংকটি কার্যকর থাকবে।

আবেদনকারীকে লিংকে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার পরে আবেদনের হার্ড কপি জমা দিতে হবে। সচিবালয়ের ২ নম্বর গেটসংলগ্ন অভ্যর্থনাকক্ষে নির্ধারিত বক্সে সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আবেদন জমা দেওয়া যাবে।

আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।