নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৭ ডিসেম্বর, ২০২০
গত ২২ নভেম্বর, দৈনিক যুগান্তরের ২য় প্রকাশিত “চাকরি ও বদলির নামে অর্থ আত্মসাৎ, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি বহিষ্কার” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়। প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন নয়, মানহানিকর। আমি দীর্ঘ সময় হৃদরোগে ও ব্রেন স্টোক আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিলাম। স্টোকের কারণে আমার শরীরের বাম দিকের অংশ অবশ ছিল। আমার এই অসুস্থতার দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস যাবৎ বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কাউকে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব না দিয়ে সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম নিজেই বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতিকে একটি দুর্নীতির আখড়াতে পরিণত করেছেন। আমার অনুপস্থিতিতে চলতি দায়িত্বের প্রধান শিক্ষক পদায়ন, প্রধান শিক্ষক পদোন্নতির মামলার নামে ও প্যানেল শিক্ষকদের কাছে থেকে সচিব, ডিজি ও প্রতিমন্ত্রী নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বা সরজমিনে তদন্তকালে উদঘাটন হবে।
সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সম্পর্কে ময়মনসিংহে তাঁর নিজ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তারাকান্দা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল মিয়া সরকার ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ফুলপুর উপজেলা শাখা কমান্ডার আঃ হাকিম সরকার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় তা প্রকাশিত হলে তিনি এখন বেসামাল হয়ে পড়ে এবং আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা সংবাদ রটাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আপনার পত্রিকায় বরিশাল প্রতিনিধিকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেন। আমাকে গতকাল বরিশাল প্রতিনিধি মোবাইল ফোনে কল করে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আমি বলি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার বক্তব্য প্রকাশিত সংবাদটিতে প্রতিনিধি পরিবেশন করেননি।
অপরদিকে তিনি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ পরিপন্থি “জয় বাংলা” স্লোগান দিতে নেতাকর্মীদের বারণ করেন। তার বক্তব্য সংগঠনে সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থক রয়েছে। সেহেতু “জয় বাংলা” স্লোগান দেয়া যথাযথ নয়। তার এহেন কর্মকান্ড সম্পর্কে যখন সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে ঠিক এ সময়ে তাঁর কতিপয় সহকর্মীকে ও বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত ও এ বহিষ্কার করায় পাঁয়তারা। কেন্দ্রীয় কমিটি কোন সভা আহ্বান না করে বা তদন্ত কমিটি নামে আত্নপেক্ষের সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে বহিষ্কারাদেশ শুধু নিজেকে বিশাল অপকর্ম চাকার পাঁয়তারাই অংশ মাত্র।
নিবেদক
মো. আতিকুর রহমান আতিক,
সভাপতি
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি