৩৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি যাচ্ছে বিকাশে

Image

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় ষষ্ঠ থেকে স্নাতক (পাস) এবং সমমান পর্যায়ের অস্বচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এবছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ৩৩ লাখ ও স্নাতক (পাস) এবং সমমান পর্যায়ের প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে যাচ্ছে তাদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে।

কয়েকবছর আগে নেয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সিদ্ধান্তে রকেটের পরিবর্তে বিকাশের মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি বিতরণ শুরু হয়। সেই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাকাউন্টগুলো প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে এন্ট্রি করা হচ্ছে। পরবর্তীতে জিটুপি (G2P) পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে সরাসরি এ টাকা পাঠানো হচ্ছে।

আরো পড়ুন: বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির নীতিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিতে শিক্ষার্থীরা

রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ে এ উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এসময় শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যে আমরা উপবৃত্তি দেই সেখানে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী নেই। একেবারে সরকার থেকে যাকে দিচ্ছি তার হাতে সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে জিটুপি সিস্টেমে। এমনকি সামাজিক নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।

গত কয়েকবছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের জিটুপি (G2P) পদ্ধতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক (পাস) ও সমমান স্তরের শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি স্বচ্ছতা, দ্রুততা ও নিরাপত্তার সঙ্গে বিতরণ করা হচ্ছে।

২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রায় স্মার্ট সিটিজেন গড়ার লক্ষ্যে সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষাকে নিশ্চিত করার উদ্যোগে ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও পুরস্কারসহ সব ধরণের ভাতা বিতরণের সিদ্ধান্ত দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংশ্লিষ্ট সকলের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।