সিলেবাস না পেয়ে বিপাকে দামুড়হুদার হাজারো শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেবাস না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন দামুড়হুদা উপজেলার ২০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। ‘আন্দাজের’ ওপর শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করছেন  শিক্ষকেরা। শিক্ষাবর্ষ শুরুর আড়াই মাস পরেও সিলেবাস দিতে না পারারা ব্যর্থতা গড়িয়েছে দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা অফিসের উপর। এ নিয়ে প্রতিদিন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন শিক্ষাবার্তার কাছে।
দামুড়হুদা উপজেরার একাধিক প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন সিলেবাস না পাওয়ায় অভিজ্ঞতা থেকে আন্দাজের ওপর তাঁরা গল্প–কবিতা পড়াচ্ছেন। পাঠ্যবইকে তিনভাগ করে তারা পড়াচ্ছেন।
এ ব্যাপারে দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা অফিসে জানতে চাওয়া হলে বলেন সিলেবাসের কাজ চলছে। খুব দ্রুত আমরা প্রতিটি বিদ্যালয়ে আমরা সিলেবাস পিৗছে দিতে পারব।

ভুল সংশোধন হয়নি এখনো

চলতি শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের ভুলভ্রান্তি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। এনসিটিবি বলেছিল, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমার পরপরই সংশোধনী দেবে। তদন্ত কমিটি গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। কিন্তু ভুলের সংশোধনী এখনো দেওয়া হয়নি।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা মঙ্গলবার বলেন, ভুল সংশোধনীর একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা আশা করছেন, আগামী সপ্তাহ নাগাদ সংশোধনী দিতে পারবেন। এর আগে তিনি ফেব্রুয়ারির শেষে সংশোধনী দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন।

পাঠ্যবইয়ে ভুলের জন্য দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেই

পাঠ্যবইয়ে ভুলের জন্য তদন্ত কমিটি যাঁদের চিহ্নিত করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, এ ঘটনায় দায়ী এনসিটিবির কয়েকজন কর্মকর্তাকে প্রথমে সংস্থাটি থেকে সরিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে। কিন্তু এখনো এর কিছু হয়নি।

অবশ্য এর আগে এনসিটিবির প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পাঠ্যবইয়ে ভুলের ঘটনায় এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক প্রীতিশ কুমার সরকার, ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ লানা হুমায়রা খানকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। আর আর্টিস্ট কাম ডিজাইনার সুজাউল আবেদীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।