শাকিবের সঙ্গে কীভাবে বিয়ে হয়েছিল, ফাঁস করলেন অপু বিশ্বাস

Image

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত জুটি অপু বিশ্বাস ও শাকিব খান। তাদের অভিনীত অধিকাংশ সিনেমাই ব্যবসাসফল। এ কারণে দর্শকমহলেও বেশ পরিচিত এই জুটি। তবে শুরুতে তারা একে অপরের সহকর্মী থাকলেও একপর্যায়ে নিজেদের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেম। তার পর বিয়ে। আর দাম্পত্যজীবনে কোলজুড়ে আসে আব্রাম খান জয়।

বিয়ে ও সন্তানের কথা প্রকাশ্যে আসার পর ভাঙনের সুর বাজতে থাকে তাদের সংসারে। এক পর্যায়ে ডিভোর্স হয় তাদের। দুজন দুদিকে পথ চলতে থাকলেও সাম্প্রতিক এ নায়িকাকে বেশ ইতিবাচক দেখা যায় স্বামী ও অভিনেতা শাকিবের ব্যাপারে। এমনকী বেশ ঘনিষ্ঠতাও রয়েছে। এবার নায়কের সঙ্গে কীভাবে বিয়ে হয়েছিল- তা জানিয়েছেন অপু বিশ্বাস।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে এসে ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, মা কখনই নায়িকা ভাবেননি আমায়। কোনো একটা ব্যাপারে শুটিং সেটে এসেই মা আমাকে ধাপ্পড় দিয়েছেন। মেকআপ নেওয়া, রোমান্টিক সিনের জন্য প্রস্তুত আমি। আর মা বলছে, এদিকে আয়। আমি আসছি বলি। কিন্তু আসছি বললাম কেন, উঠে সবার সামনেই দুই গালে দুটি থাপ্পড় দিয়েছেন।

অপু বলেন, বলতে গেলে তখন ক্যামেরা অন। মেকআপ নেওয়া থাকায় গালে থাপ্পড়ের দাগ বসে গেছে। সেটে উপস্থিত সবাই বলছিল, আন্টি কী হয়েছে, কী হয়েছে। সিনেমার নাম ছিল ‘তোমার জন্যে মরতে পারি’। সবার সামনে একে তো লজ্জা, আবার মারের ব্যথা, তৃতীয়ত যাকে পছন্দ করি তার সামনে ছোট হলাম না? এসব হচ্ছে বিয়ের আগের ঘটনা। আর এসব ব্যাপার থেকেই বিয়ে আমাদের।

এই অভিনেত্রী বলেন, মা যখন এভাবে বাধা দিচ্ছিল, তখন মগবাজারের একটি ডুপ্লেক্স বাসায় থাকত শাকিব খান। সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার শাশুড়িও ছিলেন। তখন আন্টি ডাকি আমি। যাওয়ার পর আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কী খেতে পছন্দ করি। আমি সবসময় ইলিশ মাছ খেতে ভীষণ পছন্দ করি।

তিনি বলেন, আমার মাকে আমি বলেছিলাম, শপিংয়ে যাচ্ছি। শাকিবের বাসায় যাওয়ার পর আমাকে ইলিশ মাছ খাওয়ান আন্টি। সঙ্গে উকিল বাবা মামুন (প্রযোজনা ব্যবস্থাপক মামুনুজ্জামান মামুন) ছিলেন। শাশুড়ি মাছ ভেজে খাওয়ান। মাছের এক টুকরা আমাকে খাইয়ে দেন। এত লজ্জা আর ভয় লাগছিল। আবার বিষয়টি এত ভালো লেগেছিল যে প্রায় তিন মাস আমি শুধু ওই চিন্তাই করতাম। মানে কীভাবে সবার মধ্যে আমাকে খাওয়াল। একবার এক লোকমা খাইয়ে দিয়েছিল।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।