সাত কলেজ, প্রযুক্তি ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের আবেদন শুরু কাল

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) শুরু হবে। চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বুধবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প সরকারিপ্রযুক্তি ইউনিট ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি আবেদনও চলবে।

কোন ইউনিটের পরীক্ষা কবে
এ বছর সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ১০ মে। এদিন কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ মে এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১১ মে অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া, প্রযুক্তি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৮ মে এবং গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে। সকল ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে।

সাত কলেজ
সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১০০টি প্রশ্নে ১০০ নম্বর থাকবে এবং পরীক্ষার জন্য ১ ঘণ্টা সময় নির্ধারিত থাকবে। এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য হবে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে অর্জিত জ্ঞান যাচাই করা। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে।

ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের বণ্টন— বাংলা- ২০, ইংরেজি- ২০, হিসাববিজ্ঞান- ২০, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ- ২০, মার্কেটিং বা ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা (যে কোনো ১টি) ২০ নম্বর অর্থাৎ মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সাত কলেজে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে (স্নাতক) শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ৩টি ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ২৩ হাজার ৪৯০টি। এরমধ্যে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৯৭৯টি, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৮৯২টি এবং বিজ্ঞান ইউনিট মোট আসন সংখ্যা ৮ হাজার ৬১৯টি।

তবে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ইডেন মহিলা কলেজ এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের আসনগুলো শুধু ছাত্রীদের এবং ঢাকা কলেজের আসনগুলো শুধু ছাত্রদের জন্য সংরক্ষিত।

প্রযুক্তি ইউনিট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিটে শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এই ইউনিটের অধীনে ৬টি কলেজ রয়েছে। তার মধ্যে ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ১টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও ১টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট রয়েছে। ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মধ্যে ৩টি সরকারি কলেজ এবং ১টি বেসরকারি কলেজ। আর টেক্সটাইল রিলেটেড ১টি কলেজ পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ এবং বাকি আর একটি বেসরকারি।

প্রযুক্তি ইউনিটের মোট আসন সংখ্যা ১৪৫৫টি। তার মধ্যে সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সিট ৪৮০টি, নিটারে (পিপিপি) ৬৮৫টি এবং বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সিট ২৯০টি। নিটার (জাতীয় বস্ত্র ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) এ ৬৮৫টি, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ১৮০টি করে, বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ১২০টি এবং শ্যামলী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ২৫০টি এবং কে এম হুমায়ুন কবির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৪০টি সিট।

চারটি বিষয়ের উপর পরীক্ষা হবে। পদার্থ, রসায়ন, গণিত ও ইংরেজি। ১২০ নম্বরের পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে পদার্থ ৩৫, রসায়ন ৩৫, গণিত ৩৫ এবং ইংরেজি ১৫। আর পাস মার্ক ছিল ৪৮। ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের এসএসসি ও এইচএসসি উভয় ক্ষেত্রেই চতুর্থ বিষয় সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ মোট জিপিএ ৬.৫০ (ন্যূনতম) থাকতে হবে। নেগেটিভ মার্কিং নেই। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১।

গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ২ হাজার ৬৫৫টি। এর মধ্যে বিজ্ঞান/গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগ থেকে মেধায় ১ হাজার ৫৯১টি ও কোটায় ১১৮টি। বাণিজ্য বিভাগ থেকে মেধায় ৫১৩টি ও কোটায় ৩৭টি। আর মানবিক বিভাগ থেকে মেধায় ৩৬৫টি, কোটায় ৩১টি আসন রয়েছে।

প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় ৪র্থ বিষয়সহ প্রাপ্ত জিপিএর যোগফল বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম ৬ এবং মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি শাখার জন্য ন্যূনতম ৫.৫০ হতে হবে। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় আলাদা আলাদাভাবে প্রতিটিতে জিপিএ ন্যূনতম ২.৫০ থাকতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১০০টি প্রশ্নের জন্য মোট ১০০ নম্বর থাকবে। প্রত্যেক প্রার্থীর বাংলা, ইংরেজি এবং আইসিটি এই ৩টি বিষয়ে পরিক্ষা দেওয়া আবশ্যিক। রসায়ন/ হিসাব বিজ্ঞান/ অর্থনীতি/ খাদ্য ও পুষ্টি/ সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের মধ্যে যেকোনো একটি বিষয় পরীক্ষা দিয়ে মোট চারটি বিষয় পূর্ণ করতে হবে। প্রতি বিষয়ের জন্য মোট নম্বর ২৫।

জিপিএ প্রাপ্ত নম্বর ২০ অর্থাৎ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএকে ২ দিয়ে গুণ এবং উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএকে ২ দিয়ে গুণ করে। ভর্তি পরীক্ষার পাস ৪০ নম্বর। যারা ৪০-এর কম নম্বর পাবেন তাদেরকে ভর্তির জন্য বিবেচনা করা হবে না। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কোনো প্রকার নম্বর কাটা হবে না।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।