মৌসুমের সব রেকর্ড ভাঙলো চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা

Image

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায়। শুক্রবার বেলা ৩টায় এ জেলায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস ‌রেকর্ড করা হ‌য়ে‌ছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১১ শতাংশ।

সারাদেশের তুলনায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় এ মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান।

এর আগে, শনিবার (২০ এপ্রিল) যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা ছিল চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড। তবে আজকের চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা সেই রেকর্ডও ভাঙলো।

আরো পড়ুন: হিট অ্যালার্টের মধ্যেই খুলছে স্কুল, এই সিদ্ধান্তকে অগ্রহণযোগ্য বলছেন বিশেষজ্ঞরা

এদিকে, অতি তীব্র দাবদা‌হে গ‌লে যা‌চ্ছে সড়‌কের পিচ। পা‌নির স্থর নি‌চে নে‌মে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গা অধিকাংশ গ্রা‌মে টিউবও‌য়ে‌লে পা‌নি উঠ‌ছে না। এছাড়া পা‌নি দি‌য়েও রক্ষা করা যা‌চ্ছে না মা‌ঠের সব‌জি আবাদ। শু‌কি‌য়ে যা‌চ্ছে সড়কের ধা‌রের বি‌ভিন্ন ফলজ ও বোনজ গাছসহ গা‌ছের পাতা।

অপরদিকে, টানা ১৫ দিন তীব্র থেকে অতি তীব্র দাবদাহে হাসপাতালে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলেও চিকিৎসক রয়েছে ১০০ শয্যার হাসপাতালের অর্ধেক। সামান্য এই জনবল নি‌য়ে চিকিৎসা দিতে হিম‌শিম খা‌চ্ছেন ডাক্তাররা। গরম জ‌নিত রো‌গে আক্রান্ত হ‌য়ে প্র‌তি‌দিনই ভর্তি হচ্ছেন শতা‌ধিক রোগী। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা হাসপাতালের বারান্দা ও করিডোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তীব্র রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, শুক্রবার বেলা ৩টায় এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতা‌সের আদ্রতা ছিল ১১ শতাংশ। যা সারাদেশের তুলনায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড।

তি‌নি আরো জানান, আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে। সবাইকে সাবধানে থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে হিট অ্যালার্ট মে‌নে চল‌তে। যেহেতু হিটস্ট্রোক হচ্ছে। তাই সাবধান ধাকতে হবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।