ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জিম্মির আগ মুহূর্তে ওই জাহাজের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে শেষবার কথা বলেছিলেন।
ফোনে তিনি বলেছিলেন— আমাকে ক্ষমা করে দিও, হয়তো আর যোগাযোগ হবে না। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল ৫টার পরে তৌফিকুল ইসলামের শেষ কথা হয় মা বিল আফরোজ ও স্ত্রী জোবায়দা নোমানের।
ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলামের স্ত্রী জোবায়দা নোমান বলেন, ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে কথা হয়েছিল। তিনি ফোনে বলেছেন—‘দোয়া করো। আমাদের তো সোমালিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে, হয়তো আর যোগাযোগ হবে না। এটাই ছিল তার শেষ কথা। তারপরে এখন পর্যন্ত আর কথা হয়নি।’
জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলামের পরিবারে রয়েছেন বাবা ইকবাল হোসেন, মা বিল আফরোজ, স্ত্রী জোবায়দা নোমান এবং ৫ ও ৭ বছর বয়সী দুই সন্তান তাসফিয়া তাহসিনা ও আহমেদ রুসাফি।
আরও পড়ুন: ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল আগামী মাসে
ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলামের মা দিল আফরোজ বলেন, ছেলের সঙ্গে শেষবার কথা হওয়ার সময় সে বললো, ‘আম্মা আমি ভালো আছি, চিন্তা করো না। তুমি দোয়াটা পইড়ো, আল্লাহ দোয়া কবুল করবে। এই বলতে বলতেই আর কথা নেই।’ শেষ কথা আমার সঙ্গে হয়েছে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। জাহাজটি শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন। ওই ঘটনার পর কেটে গেছে আট দিন। জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের মুক্তির বিষয়ে এখনও দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। গত ১৬ মার্চ সবশেষ যোগাযোগ হয়েছিল নাবিকদের সঙ্গে। এ অবস্থায় নাবিকদের মুক্তির অপেক্ষা বাড়ছে।
by