প্রাথমিকে নিয়োগ বিধিমালা নিয়ে সিনিয়র সচিব যা বললেন

শিক্ষাবার্তা_আকরাম

ডেস্ক,৯ জুলাই : প্রাথমিক বিদ্যালয় দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। অথচ দীর্ঘদিনেও প্রায় ৪ লাখ শিক্ষকের এ প্রতিষ্ঠানে ছিলোনা নিয়োগ বিধিমালা। এ নিয়েই স্টাটাস দিয়েছেন সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন।

শুক্রবার বিকেলে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন- গতকাল (বৃহস্পতিবার) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা ফোন করে কৃতজ্ঞতা জানালেন। কারণ প্রাথমিক শিক্ষার নিয়োগ বিধিমালা সচিব কমিটিতে অনুমোদিত হয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং খুশির খবর। আমার কাছেও। কারণ এটি নিয়ে আমি প্রায় ৫ বছর কাজ করেছি। আমি যখন ষোল সালে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে যোগদান করি তখন থেকে শুরু। আঠারো সালের এপ্রিলে সচিব হিসেবে পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ার আগে সব কাজ শেষ করে তৎকালীন সচিবের অনুমোদন করিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য রেডি করে যাই। সেপ্টেম্বরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদানের পর দেখি নতুন করে অনেকগুলো জটিলতা তৈরি করে এটি হিম ঘরে পাঠানো হয়েছে। আমি বলেছিলাম শেষ করবো আমার সময়ে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিধিমালা নেই এটি একদিকে যেমন লজ্জার অন্যদিকে দুর্ভাগ্যজনক। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন গ্রুপের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে রশি টানাটানি আছে। সব গ্রুপকে আস্থায় নিয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের গালাগালি করে অবশেষে নিয়োগ বিধিমালাটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে পেরেছিলাম চাকরি থেকে অবসরের আগে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজও আমি শেষ করে এসেছিলাম, বাকি ছিল সচিব কমিটির অনুমোদন। গতকাল অনুমোদন পেয়েছে। ধন্যবাদ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। এখন একটি সম্নিলিত নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করতে হবে। যেখানে শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের একটা মাত্র নিয়োগ বিধিমালা থাকবে। আশা করি বর্তমান সচিবের নেতৃত্বে এই কাজটি অচিরেই শুরু হয়ে শেষ হবে।

নিয়োগ আইধিমালা চুড়ান্ত করাই ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ ও সিনিয়ার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক স্বরুপ দাস।
২০৩০ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে অবশ্যই প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ এখন যারা প্রাথমিকে পড়ছে তারাই আগামীর বাংলাদেশ, তারাই ২০৩০ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বে। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।