জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলায় চিনাডুলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক সহকারী শিক্ষিকাকে বাদ দিয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের স্ত্রীকে নিয়োগ দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। শনিবার দুপুরে এ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে স্কুলের শিক্ষার্থী,অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষসহ সকল শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চিনাডুলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টিতে ২০০৪ সালে শাহানা বেগম সহকারী শিক্ষিকার পদে যোগদান করেন। ২০১০ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত বিনা বেতনে তিনি চাকরি করেন এবং এখনও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমীন আনছারী কৌশলে শাহানা বেগমের নাম বাদ দিয়ে তার স্ত্রী মোছা.ফারজানা বেগমের নাম এমপিওভুক্ত করান।
বিষয়টি জানার পর বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। শনিবার দুপুরে তারা বিদ্যালয়ের সামনে ইসলামপুর-মাহামুদপুর সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও প্রধান শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এ সময় তারা প্রধান শিক্ষককে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে তার শাস্তি ও শাহানা বেগমকে সহকারী শিক্ষিকার পদে পুনরায় নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বিদ্যালয়টির সাবেক প্রধান শিক্ষক দৌলতুজ্জামান, নূরুন্নবী, সাইদুর রহমান, জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রুহুল আমীন আনছারী বলেন, ২০১৫ সালের ১ আগস্ট শাহানা বেগম সহকারী শিক্ষিকার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে এ কথা অস্বীকার করে শাহানা বেগম এখনও নিজেকে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক হিসেবে দাবি করেন।
শাহানা বেগম বলেন, মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় প্রধান শিক্ষক কৌশলে তার স্বাক্ষর জালসই করে ভুয়া পদত্যাগ দেখিয়ে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রীকে এমপিওভুক্তি করেছেন।
by