প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকরা সাক্ষাত চান

অনলাইন ডেস্ক,১৪ নভেম্বর:

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১১তম, সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ১২তম এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। এটি একধরনের প্রহসন বলে মনে করছেন তারা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান । প্রধান শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাদের সাথে এক ধরনের প্রহসন করা হয়েছে। তারা আগেও ১১তম গ্রেড পেয়েছেন আবার এখনও ১১ তম গ্রেডের সুপারিশ করেছে। যা হাস্যকর।

সুত্র জানায়,প্রধান শিক্ষকদের ১০তম ও সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নাকচ করে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রাগম অর্থ মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে । নতুনভাবে আলোচনার মাধ্যমে প্রধানদের ১১তম ও সহকারী প্রধানদের ১২তম এবং সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডের জন্য প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়। তার ভিত্তিতে প্রাগম প্রস্তাব পাঠাই। সেটি তারা লিখিতভাবে সম্মতি জানিয়েছে, এখন বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

প্রাগম সচিব বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। আমরা তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সমাপনী পরীক্ষার পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।

প্রাথমিকের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকরা বেতন বৈষম্য নিরসনে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। এ দাবিতে আসন্ন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও বয়কটের হুমকি দিয়েছিলেন তারা। পরে বেতন বৈষম্য নিরসনে গত ২৮ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ৭ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে এখন থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন) জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ এর ১১তম গ্রেডে (১২৫০০-৩০২৩০ টাকা) এবং সহকারী শিক্ষক (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণবিহীন) ১৩তম গ্রেডে (১১০০০-২৬৫৯০ টাকা) বেতন পাবেন বলে উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু নতুন এ বেতন স্কেল প্রত্যাখ্যান করেন বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয প্রধান শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রিয় সিনিয়ার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সাধারন সম্পাদক স্বরুপ দাস। তিনি বলেন, ‘এটি একধরনের প্রহসন। আমরা আগেও ১১তম গ্রেড পেয়ে আসছি। আবার কিভাবে আমাদের ১১তম গ্রেডের সুপারিশ করা হয় তা বোধগম্য নয়। তাছারা প্রধান শিক্ষকদের ৯/৩/১৪ থেকে ১৪/১২/২০১৫ ইং তারিখ পর্যন্ত টাইমস্কেল আটকিয়ে আছে। যা দ্রুত সমাধানের দাবী জানান।


Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।