নিয়োগ বাণিজ্যে বরখাস্ত যবিপ্রবির কর্মচারী, পদোন্নতি পাবেন না আরেক কর্মকর্তা

Image

নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক কর্মচারীকে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। একই অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. হায়াতুজ্জামানের আগামী পাঁচ বছর ‘পদোন্নতি’ এবং তিনটি বার্ষিক ‘ইনক্রিমেন্ট’ স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বরখাস্ত হওয়া মো. ফয়সাল কবির সিনিয়র টেলিফোন অপারেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৯৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

আরো পড়ুন: কৃষি গুচ্ছের অপেক্ষমান তালিকা থেকে প্রাথমিক ভর্তি শুরু

এর আগে অভিযোগ সংক্রান্ত কমিটি রিজেন্ট বোর্ডে প্রতিবেদন পেশ করে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাদের শাস্তি প্রদান করা হয়। সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি এবং সশরীরে রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অংশ নেন।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায় জানানো হয়, নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক মো. হায়াতুজ্জামানের আগামী পাঁচ বছর সকল ধরনের ‘পদোন্নতি’ এবং তিনটি বার্ষিক ‘ইনক্রিমেন্ট’ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তদন্ত কমিটি জানায়, নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সিনিয়র টেলিফোন অপারেটর মো. ফয়সাল কবির ইতিমধ্যে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি তাঁকে গুরুদণ্ডের শাস্তি প্রদানের সুপারিশ করে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী ফয়সাল কবিরকে চাকরি হতে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হাজ্জাজ বিন আজিজের চাকরি অবসান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এদিকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) চৌগাছার মৃধাপাড়া কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে যবিপ্রবির পিটিআর বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নুরুল সাদিক সজীব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরবর্তীতে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়। রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টুস অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটির ১১তম সভার সুপারিশক্রমে রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আবু ইউসুফ মিয়াসহ রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যবৃন্দ।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।