নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন: আবেদন ১৮ মের মধ্যে

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক,২৮ এপ্রিল ২০২৩: স্কুলবিহীন এলাকায় নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য প্রস্তাবিত প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে। ওই প্রকল্পের আওতায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনে আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ওই প্রকল্পের আওতায় তালিকাভুক্ত করতে প্রস্তাবিত প্রাইমারি স্কুলের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী ১৮ মে পর্যন্ত নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের আবেদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইমেইলেও হার্ড কপিতে অধিদপ্তরে পাঠানো যাবে।

আরো পড়ুন:বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৮ জনের

বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, যথাযথ শর্ত পূরণ করে যেসব এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই, সে সব এলাকায় বিদ্যালয় স্থাপনের আবেদন করা যাবে।

জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল নতুন স্কুল স্থাপনের আবেদন চেয়ে সব উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। উপপরিচালক ইমামুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে। ওই প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়ের তালিকাভুক্তির জন্য উপজেলার প্রস্তাবিত বিদ্যালয় বা বিদ্যালয়গুলোর আবেদন তথ্য বা ডকুমেন্টসসহ আগামী ১৮ মের মধ্যে অধিদপ্তরে পাঠানোর জন্য বলা হলো।

আরো পড়ুন: ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম ও হোটেলে রাতযাপন—প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

উপজেলা থেকে আগে পাঠানো প্রস্তাবিত বিদ্যালয়গুলোর জন্যও তথ্য বা ডকুমেন্টস পাঠাতে হবে। আবেদনের সঙ্গে তথ্য বা ডকুমেন্টসে্‌র হার্ডকপি ও সফটকপি ইমেইলে ([email protected][email protected]) আগামী ১৮ মের মধ্যে অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, নতুন স্কুল স্থাপনের আবেদন করতে উপজেয়া পর্যায়ের কমিটির কার্যবিবরণী, কমিটির সুপারিশ, নিকটবর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয় দুরত্ব ও শিক্ষার্থী সংখ্যা, দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে কি-না সে তথ্য, দুই কিলোমিটারের মধ্যে প্রাইমারি স্কুল থাকলেও সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা আছে কি-না বা অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে কি-না, প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের গ্রামে অন্য কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে কি-না, গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও প্রস্তাবিত স্কুল থেকে
অবস্থান কতদূরে, প্রস্তাবিত স্কুলের চারপাশের বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকা চিহ্নিত করে ক্যাচমেন্ট এলাকা নির্ধারণ, প্রস্তাবিত স্কুলের জমি আছে কি-না, জমি না থাকলে বিকল্প প্রস্তাব কি, স্কুলের জন্য জমি বা প্রতিশ্রুত জমি থাকলে তার অবস্থা কেমন, প্রস্তাবিত স্কুলের গ্রাম বা মৌজার জনসংখ্যা কতো, ক্যাচমেন্ট এলাকার জনসংখ্যা কতো, প্রস্তাবিত স্কুলের ক্যাচমেন্ট এলাকায় ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত ইত্যাদি তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে নতুন স্কুল স্থাপনের আবেদন করতে হবে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন স্কুল স্থাপনে অপুর্ণাঙ্গ আবেদন বিবেচনা করা হবে না। সব তথ্য ও ডকুমেন্টস্‌ সঠিক আছে বলে উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তার প্রত্যয়ন নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, চরাঞ্চলে নতুন করে এক হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।