দুই মাস পর জামিনে মুক্তি পেলেন ফারদিনের বান্ধবী বুশরা

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক,১০ জানুয়ারী ২০২৩:

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আয়াতুল্লাহ বুশরা জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর দুইটা ১২ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বুশরার বাবা মো. মঞ্জুরুল তাকে গ্রহণ করেন। পরে সিনিয়র জেল সুপার ওবায়দুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:পাবিপ্রবিতে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

এর আগে গত রোববার (৮ জানুয়ারি) বুশরার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারীর জামিনের আদেশ দেন।

বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে গত ৪ নভেম্বর ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। ওই দিনই তিনি নিখোঁজ হন। ওই দিন ফারদিনের সঙ্গে ছিলেন আয়াতুল্লাহ। নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।

এ ঘটনায় ফারদিনের বাবা মামলা করেন। মামলায় আয়াতুল্লাহ বুশরাকে আসামি করা হয়। ১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ড শেষে কারাগারে ছিলেন বুশরা।

বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে প্রাথমিক ধারণার কথা জানিয়েছিলেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। এরপর এটিকে হত্যাকাণ্ড ধরে মামলার তদন্ত এগোলেও সম্প্রতি তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফারদিন নূর আত্মহত্যা করেছিলেন। এ ঘটনার ছায়াতদন্ত করা র‍্যাবের পক্ষ থেকেও একই কথা বলা হয়। দাবির পক্ষে যুক্তি হিসেবে রাতের আঁধারে ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে একজনের নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার একটি ভিডিও হাজির করেছিল তারা।

তবে ফারদিনের পরিবার তাদের এই বক্তব্য মেনে নেয়নি। ফারদিন ‘হত্যাকাণ্ডের’ বিচার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা বুয়েটশিক্ষার্থীরাও ডিবি-র‍্যাবের বক্তব্য নিয়ে কয়েকটি বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।