দর্শনায় সরকারী ভবন নির্মান বাঁশের চটার পর এবার সিমেন্টে মাটি মেশানোর অভিযোগ । তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

দামুড়হুদা,চুয়াডাঙ্গা ঃ চুয়াাঙ্গার দর্শনায় কৃdamurhuda vobon pic,2ষি সম্প্রসারন অধিদফতরের প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ ল্যাব ও অফিস ৫ তলা ভবন নির্মানের ঘঁনায় একের পর এক অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসছে। রডের বদলে বাঁশের চটা ব্যবহারের পর এবার সিমেন্টের সাথে মাটি ও খোয়ার সাথে রাবিশ মেশানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তা নয়, অত্যন্ত নিন্ম মানের ইট ও বালু দিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ প্রশাসক মাফুজুর রহমান মন্জু।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান তদন্ত করে জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মাণাধীন ওই ভবনের লুপ ঢালাইয়ে রড না দিয়ে কাটা বাঁশ (কাবারি বা চটা) এবং খোয়ার পরিবর্তে পরিত্যক্ত সুরকিসহ নিুমানের উপকরণ ব্যবহার করার সত্যতা পাওয়া গেছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয়ভাবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তিন সদস্যের তদন্তদল রবিবার তাদের তদন্ত শেষ করলেও এখনও প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
এদিকে, নির্মাণকাজ তদন্ত করার জন্য তিন সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি আলাদাভাবে রবিবার তাদের তদন্তকাজ শেষ করেছে। খামারবাড়ি ঢাকার উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইং এর পরিচালক সৌমেন সাহা ছিলেন ওই তদন্ত কমিটির প্রধান। সদস্যদ্বয় ছিলেন, ফাইটো স্যানিটরি ক্যাপাসিটি শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ মো. আইয়ুব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নির্মল কুমার দে।
এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, রডের বদলে বাঁশ দিয়ে ভবন নির্মানের বিষয়টিতে কৃষি বিভাগের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। কোন ভাবেই দোষীদেও ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ইতি মধ্যে সংশিষ্ট এককর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রকল্পের প্রকিউরমেন্ট কনসালটেন্টকে কারন দর্শনোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সংশিষ্ট ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকা ভুক্ত করা হতে পারে বলে তিনি জানান।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।