ডায়াবেটিস রোগে হোমিও চিকিৎসা

ডায়াবেটিস-শিক্ষাবার্তা

ডাঃ এস কে দাসঃ
ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা এবং সুগার লেভেল কমানোর উপায় নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। ডায়াবেটিস (Diabetes) একটি বিপাকজনিত রোগ। আমাদের শরীরে ইনস্যুলিন নামের হরমোনের সম্পূর্ণ বা আপেক্ষিক ঘাটতির কারণে Pancreas (অগ্নাশয়) বিপাকজনিত গোলযোগ সৃষ্টি হয়ে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং এক সময় তা প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। এই সামগ্রিক অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলে।
ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স কীঃ

ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয়। কিন্তু যা সঠিকভাবে কাজ করে না অর্থাৎ শরীরে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা সঠিকভাবে কমাতে পারে না। কোনো ব্যক্তির শরীরে ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স হলে পরবর্তীতে তার ডায়াবেটিস দেখা দেয়, সাধারণত টাইপ-২ ডায়াবেটিস।
ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স হলে সাধারণত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়, তন্ত্রাচ্ছন্ন ভাব থাকে। মস্তিষ্কস্থূলতা দেখা দেয়, ওজন বাড়ে। শরীরে চর্বি জমে, রক্তচাপ বাড়ে, ক্ষুধা ও তৃষ্ণা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়।

আরো পড়ুুনঃ ১১টি হোমিও ঔষধে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি
ডায়াবেটিস রোগ নির্ণয় উপায়ঃ

রক্তের গ্লুকোজের মাত্রার ১% পরিমাপ করে ডায়াবেটিস শনাক্ত করতে হয়। সুস্থ ব্যক্তির রক্তের প্লাজমায় গ্লুকোজের পরিমাণ অভুক্ত অবস্থায় ৬.১ মিলি মোলের কম এবং খাবার ২ ঘণ্টা পরে ৭.৮ মিলি মোলের কম অথবা ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে রক্তের প্লাজমায় গ্লুকোজের পরিমাণ ১১.১ মিলিমোলের কম থাকে। কোনো ব্যক্তির রক্তের প্লাজমায় অভুক্ত অবস্থায় গ্লুকোজের পরিমাণ ৭.০ মিলি মোল বা তার বেশি হলে এবং খাবার খাওয়ার অথবা ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে রক্তের প্লাজমায় গ্লুকোজের পরিমাণ ১১.১ মিলি মোল বা তার বেশি হলে অথবা রক্তের গ্লুকোজের ৬.৫%-এর বেশি হলে তাকে ডায়াবেটিস রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনায় করণীয় কি?

ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনায় চারটি নিয়ম মেনে চলতে হয়-
১. খাদ্য ব্যবস্থা
২. সাধ্যমতো কায়িক পরিশ্রম ও ব্যায়াম
৩. ওষুধ
৪. ডায়াবেটিস সম্পর্কিত শিক্ষা
মেডিসিন
হোমিওপ্যাথি Chelidonium Majus ডায়াবেটিস রোগী বা যাদের ডায়াবেটিস হয়নি কিন্তু হবার সম্ভাবনা রয়েছে, সেটা বংশগত বা যে কারণই হোক তাদের প্রতিষেধক হিসাবে অন্যতম হোমিওপ্যাথি ঔষধ হিসাবে গণ্য করা হয়েছে।
এছাড়া Natrum Sulph, Zincum Phos সহ অন্যান্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধ লক্ষণ অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ব্যবহার হয়।
(ডায়াবেটিস রোগীকে হোমিওপ্যাথি ঔষধ সঠিক মাত্রা ও সেবন বিধি এবং অবশ্যই শক্তিকৃত তরল ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে)।

সত্যি বলতে কি, ডায়াবেটিস কোন একটি একক রোগ নয়, বরং বলা যায় এটি অনেকগুলো রোগের সমষ্টি (অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি যে, অনেকগুলো রোগ/ত্রুটি/বিকৃতি সম্মিলিতভাবে ডায়াবেটিসের সৃষ্টি করে থাকে)। এই কারণে, একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের প্রয়োজন মানবতার এই ভয়ঙ্কর দুশমনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় তার হাতে থাকা সকল প্রকার অস্ত্র প্রয়োগ করা। যদি ডায়াবেটিসের সাথে সাথে আপনার অন্যান্য রোগও (যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, হাপাঁনি, মেদভূড়ি, বাতের সমস্যা, কিডনী রোগ, হৃদরোগ, স্মায়বিক রোগ ইত্যাদি) সেরে যায়, তবে বিস্মিত হবেন না। কেননা আমাদের হৃৎপিন্ড, ফুসফুস, লিভার, কিডনী, মস্তিষ্ক, পাকস্থলী, স্মায়ু, হরমোন গ্রন্থি, রক্ত, যৌনাঙ্গ, চোখ, হাড় ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর এই এগারটি ঔষধের অনেক ইতিবাচক প্রভাব আছে।

সমস্যা জানাতে ক্লিক করুন

সমস্যা জানাতে ক্লিক করুন
আরও বিস্তারিত জানতে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

ডাঃ এস কে দাস
ডিএইচএমএস(ঢাকা)
০১৮১১৮৯৮০৬১

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।