টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু ৭ এপ্রিল

Image

ডেস্ক,১৫ মার্চ:
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে বহু প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। সেখানে কোনো জটিলতা দেখা না দেয়ায় ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারাদেশে গণ টিকাদান। যারা ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে দুই মাস পর জানিয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান বলেন, যারা ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম টিকা নিয়েছেন, তাদের ৭ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হবে।

তবে প্রথম দিকে দ্বিতীয় ডোজের জন্য এক মাস পরের তারিখ লিখে দেয়া হয়েছিল, কিন্তু এই টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়লে কার্যকারিতাও বাড়ে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার সুপারিশ করে জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটি। এর জন্য মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে তাদের নতুন তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম ১৫ ফেব্রুয়ারি জানান, বাংলাদেশে দ্বিতীয় ডোজ দুই মাস পরেই দেয়া হবে।

এরপর থেকে যারা টিকার প্রথম ডোজ নিচ্ছেন, দ্বিতীয় ডোজের জন্য তাদের টিকা কার্ডে দুই মাস পরের তারিখই দেয়া হচ্ছে।

টিকা নিয়েছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেও একই তথ্য পাওয়া গেছে। মার্চের ১১ তারিখ টিকা নেন জুবায়ের আহমেদ নবীন তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, টিকা নেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের জন্য মে মাসের ১১ তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ।

২৬ জানুয়ারি থেকে রেজিস্ট্রেশন শুরু হয় করোনা টিকার। প্রথম দফায় দেশে করোনার টিকা দেয়া হবে ৫০ লাখ মানুষকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য আলাদা টিম গঠন করা হয়।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, এর আগে আমাদের জানানো হয়েছিল প্রথম ডোজ দেয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার নতুন তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ডোজ দেয়ার দুই মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে।

তিনি আরো বলেন, আগে পরিকল্পনা ছিল প্রথম মাসে ৫০ লাখ টিকা ২৫ লাখ মানুষকে দিয়ে বাকিটা দ্বিতীয় ডোজের জন্য রেখে দেয়া হবে। কিন্তু পরিকল্পনার পরিবর্তনের কারণে প্রথম মাসেই একসঙ্গে ৫০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে। দুই মাসের মধ্যে আরো টিকা চলে আসবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, ফাইজারের টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৪ লাখ সম্মুখসারির মানুষকে ফাইজারের টিকা দিতে হবে।

অক্সফোর্ডের তিন কোটি ডোজ টিকা আনতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে গত পাঁচ নভেম্বরে যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। আর কোভ্যাক্স থেকে ছয় কোটি ৮০ ডোজ টিকা আসবে আগামী মে থেকে জুন মাসের মধ্যে।

কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, সঠিক সময়ে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হবে। তবে টিকা নিলেও সবাইকে আগের দেয়া নির্দেশনা গুলো মানতে হবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।