জাতীয়করন প্রধান শিক্ষকরা সরকারী প্রধান শিক্ষকের চেয়ে দিগুনের বেশি বেতন! বিভিন্ন এলাকায় ক্ষোভ

ঢাকা : সারা দেশে জাতীয়করনকৃত শিক্ষক এবং সরকারী শিক্ষকদের মধ্যে বেতন এবং টাইমস্কেল বৈষম্য চরম আকার ধারন করেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের 21.01.2014 তারিখের একটি পত্রে জাতীয়করণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে চাকুরির প্রথম যোগদান থেকে শুরু করে কর্মকাল গননা করে প্রাপ্ত টাইমস্কেল পাওনা হবে। কিন্তু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রমোশনপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরে কর্মকাল প্রমোশনের তারিখ হতে গননা করা হয়। ফলে সরকারী এবং জাতীয়করন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন নিয়ে এক ধুম্যজাল সৃষ্টি হয়েছে সারা দেশে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রধান শিক্ষক দৈনিক বর্তমানকে বলেন শিক্ষিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সারভিস রুল কখনও দু রকম হতে পারে না। আমরা(প্রমোশনপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষকরা প্রমোশন পাবার পর থেকে ৮ বছর কর্মকাল গননা করে টাইমস্কেল পাওনা হচ্ছি। অথচ জাতীয়করন শিক্ষকরা প্রথম যোগদান থেকে তাদের কর্মকাল গননা করে করেসপনডিং স্কেলে বেতন করে আমাদের চেয়ে দ্বিগুন বেতন পাচ্ছে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গার একাধিক প্রধান শিক্ষক জানান, তারা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর বিষয়টি সমাধানের কথা বললে তাতে কোন সমাধান পাওয়া যায়নি। এমনকি হিসাবরক্ষন অফিসে তদন্ত আসলেও বিরাট অংকের আর্থিক লেনদেনের কারনে তারাও বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। তারা ইতিমধ্যে বিষয়টি মহাপরিচালক বরাবর চিঠি প্রেরন করেছে। এখানে সমাধান না হলে তারা সচিব বরাবর বিষয়টি জানাবে। তাতেও সমাধান না হলে হাইকোর্টে রিড করাির মাধ্যমে তাদের নায্য দাবি তারা জানাবে।
চুয়াডাঙ্গার উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান জানান, পরিপত্র অনুয়ায়ী তাদের টাইমস্কেল এবং করেসপনডিং স্কেল দেয়া হয়েছে। করেসপনিডং চিঠি না হওয়া সত্তেও আপনি কিভাবে টাইমস্কেল পাশ করলেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
চুয়াডাঙ্গার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মুকুল জানান এ সমস্যা সারা দেশে । সাধারন শিক্ষকদের দাবী বিষয়টি কর্তৃপক্ষ সদয় দৃষ্টি দেবেন।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার জাতীয়করনকৃত শিক্ষক নেতার কাছে বিষয়টি সম্র্পকে জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা পরিপত্র অনুয়ায়ী টাইমস্কেল নিয়েছি।
উল্লেখ্য ১৪-৭-০৮ সালের এক পরিপত্রে রেজিষ্টাট বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা ও ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়নের লক্ষে বিদ্যমান ৫টি পদের একটিকে প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। অর্থাৎ ২০০৮ সাল থেকে জাতীয়করন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হয়।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।