চমেক ছাত্রলীগের ৭ নেতাকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার

Image

চমেক প্রতিনিধি,১৭ মার্চ ২০২৩: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে চার সাধারণ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় ৭ ছাত্রলীগ নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।

গতকাল বৃহস্পতিবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদের মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধে আগেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। তারা সবাই নিজেদের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী বলে পরিচিত।

আরো পড়ুন: সাত কলেজের ভর্তির আবেদন শুরু ২ এপ্রিল, পরীক্ষা ১৬ জুন থেকে

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার বলেন, তারা আগেও শাস্তি পেয়েছিল। শাস্তি পরে কিছুটা মওকুফ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা শোধরায়নি। তাই আগের শাস্তিসহ মিলে এবার ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত বহিষ্কার করা হলো।

শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চমেক ৫৯ ব্যাচের অভিজিৎ দাশকে তিন বছরের জন্য কলেজের যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়। দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় ৫৯ ব্যাচের রিয়াজুল ইসলাম, ৬২ ব্যাচের সাজু দাশ ও একই ব্যাচের সৌরভ দেবনাথকে। দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় মাহিন আহমেদ, জাকির হোসেন ও ইব্রাহিম খলিলকে। তিনজনই ৬২ ব্যাচের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ইব্রাহিম খলিল ছাড়া বাকিদের আগেও বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিছুদিন পর তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি মওকুফ করা হয়েছিল।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ বর্ষের ৪ ছাত্রকে প্রধান ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে নিয়ে পেটানো হয়। তাদের মধ্যে দুজনই চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিয়েছেন। অপর দুইজন বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এই চারজন ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ এনে তাদের মারধর করা হয়েছিল।

এই ঘটনায় চমেক অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি ঘটনার তদন্ত করে। এর প্রধান ছিলেন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম। কমিটির প্রতিবেদনের পর তা নিয়ে আজ একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা হয়। সভায় কাউন্সিলের সদস্যরা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির পক্ষে রায় দেন। এরপর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তটি আজ থেকে কার্যকর বলেও সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।