গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নির্বাচনের পর

Image

দেশের ২২টি সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। আগামী জানুয়ারি মাসের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। এবার ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আরও দুটি নতুন করে যুক্ত হতে পারে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহবায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতারবলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

জানা গেছে, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিল তদারক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এজন্য একটি খসড়া অধ্যাদেশ তৈরি করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল সংস্থাটি। তবে প্রস্তাবনা না পাঠিয়ে খসড়া পাঠানোয় তা অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে ব্যর্থ হলেও আগের ন্যায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আয়োজনের কথা জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। তবে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকক সমিতি গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যেতে তোড়জোড় শুরু করেছে। এই অবস্থায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার কারণে শিক্ষার্থীদের নানা ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে। একজন শিক্ষার্থী নিজের মেধা যাচাইয়ের জন্য কেবল একটি সুযোগ পাচ্ছে। এতে করে অনেকেরই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুচ্ছের প্রথম সারির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  জানান, গুচ্ছের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের স্বকীয়তা হারিয়েছে। গুচ্ছের কারণে ক্লাস শুরু করতে অনেক বিলম্ব হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের সেশনজটের কবলে পড়তে হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় বড় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছে আনা যায়নি। তারাও থাকতে চান না। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হলে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে হওয়া দরকার।

এ বিষয়ে জানতে ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।