করুন অবস্থায় চলছে খলিশাপুর উচ্চ বিদ্যালয়।

অাব্দুস ছাত্তারঃ

নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থানাধীন খলিশাপুড় ইউনিয়নে২ একর ২১ শতাংশ ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬২ সালে খলিশাপুর উচ্চ বিদ্যালয়।সরকারকৃত প্রথম স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয় ১৯৬৭ সালে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২য় বার ১৯৭১ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতিলাভ করে। বিদ্যালয়টি পহেলা সেপ্টেম্বর১৯৮৪ সালে মাধ্যমিক অনুদান এম.পি.ও ভূক্ত হয়।২০০৪ সালে প্রক্তন প্রধান শিক্ষক আবু সিদ্দিক আহম্মেদ শিক্ষাবোর্ডর কাছে একাদশ শ্রেণি খোলার জন্য আবেদন করলে ২০০৫ সালে বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণি পাঠদানের অনুমতি পায়।বিদ্যালয়টির নতুন নামকরণ হয় খলিশাপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। তখনি প্রয়োজন দেখা দেয় অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারীর।

এরই মধ্যে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক কে বাদ দিয়ে নিজেরাই খলিশাপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজ নামে ময়মনসিংহের আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক জাহানে ১১ই জানুয়ারি ২০০৫ সনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ৪ র্থ বার নামে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়।এর ফলে কলেজ পরিদর্শক ২৫ শে সেপ্টেম্বর ২০০৫ সালে এই মর্মে চিঠির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষককে জানান প্রধান শিক্ষকের পদ বিলুপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের দ্বায়িত্ব পালন করবে অধ্যক্ষ।এর পরেই বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়।

জনমনে প্রশ্ন উঠেছে যে খলিশাপুর উচ্চ বিদ্যালয় যার কোড- ৮৪২৮ পরবর্তীতে খলিশাপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে স্বীকৃতি লাভ করলে কোড হয় – ৮২৬০। কিন্তু খলিশাপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় খলিশাপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজ নামে এবং ব্যাংক থেকে বেতন ভাতা উত্তোলন করা হয় খলিশাপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে, কিন্তু এম.পি.ও বিলে বিলে লেখা আছে খলিশাপুর উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমান সময়ে কোন ম্যানেজিং কমিটি না থাকলেও নন এম. পি. ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্বাক্ষরে বেতন ভাতা তুলছে এম. পি. ও ভূক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ।

জানা যায় ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে এ যাবৎ একাদশ শ্রেণিতে কোন ছাত্রছাত্রী  ভর্তি করা হয়নাই। কলেজ শাখায় কোন ক্লাস হয় না।এলাকার লোকমারফত জানা যায়,প্রায় সারা বছর কলেজ শাখার অফিসে তালা লাগানো তাকে।যেহেতু, কলেজ শাখায় কোন কার্যক্রম নাই বললেই চলে সেহেতু কলেজ কর্তৃপক্ষ কমিটি গঠনের প্রতি আগ্রহী নয়।কমিটি না থাকার ফলে বিদ্যালয়টির শিক্ষা মান উন্নয়নের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।তাছাড়া বিদ্যালয়ে কমিটির অভাবে শিক্ষক নিয়োগদান সম্ভব না হওয়ায় করুন অবস্থায় চলছে বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড হতে গত ২১ শে ডিসেম্বর ২০১৫ ইং চিঠির মাধ্যমে জানানো হয় বিদ্যালয়টিতে কলেজ শাখা অনুমোদন পাওয়ায় এডহক কমিটি গঠনের অনুমিত দেওয়া গেলনা।এমতাবস্থায় এলাকাবাসী শিক্ষাবোর্ডের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছে খলিশাপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে কলেজ শাখা পৃথক করিয়া এডহক কমিটি গঠনের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করিয়া খলিশাপুর উচ্চ বিদ্যালয়টিকে পরিচালনা করার জন্য।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।