এসএসসিতে মূল্যায়ন: অর্ধেক হবে লিখিত, বাকিটা কার্যক্রমভিত্তিক

Image

নতুন কারিকুলামে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার নাম ও মূল্যায়ন পদ্ধতি কেমন হবে, তা ঠিক করতে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থীদের অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক মূল্যায়নের পদ্ধতিসহ পরীক্ষার নাম নামের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে কমিটির সদস্যরা। এ পরীক্ষার নাম ‘মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি)’ রাখার পক্ষে মতামত দিয়েছে কমিটি।

নতুন পদ্ধতিতে প্রথমবার এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালে। গত ২২ এপ্রিল মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) নিয়মিত বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই কমিটি। বৈঠকে খসড়া সুপারিশ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। সেখানে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়।

জানা গেছে, নতুন নিয়মে মূল্যায়নের অর্ধেক হবে লিখিত, বাকিটা কার্যক্রমভিত্তিক এমন কয়েকটি সুপারিশের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- লিখিত মূল্যায়ন ৫০ শতাংশ, আর কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়ন হবে ৫০ শতাংশ। ১০ বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার।

আরো পড়ুন: প্রাথমিক ও মাধ্যমিকেও হতে পারে অনলাইন ক্লাস

এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে এনসিটিবির ও একটি কমিটি ছিল। সেই কমিটি একটি সুপারিশ মন্ত্রণালয়ের গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দিয়েছে। এগুলো এখনো চূড়ান্ত নয়। আরও পর্যালোচনা করে সুপারিশ চূড়ান্ত করা হবে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন কারিকুলামে পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতির কিছু সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতিবেদনটি শিগগির চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে।

এদিকে, লিখিত পরীক্ষার বিষয়ে কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যোগ্যতা ও কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নের পাশাপাশি লিখিত (পরীক্ষা) মূল্যায়ন রাখা যেতে পারে। আন্তঃসম্পর্ক বজায় রেখে লিখিত মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ও কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ রাখার কথা বলা হয়েছে। স্কুলভিত্তিক ষান্মাসিক ও বার্ষিক মূল্যায়ন এবং পাবলিক মূল্যায়নে একই পদ্ধতিতে করা যেতে পারে।

পরীক্ষার সময় ঠিক কত ঘণ্টা হবে, সে বিষয়ে সুপারিশ অংশে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। কমিটির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, লিখিত ও কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়ন মিলিয়ে মোট সময় হবে পাঁচ ঘণ্টা। এরমধ্যে লিখিত অংশের সময় কত ও কার্যক্রমভিত্তিক অংশের জন্য সময় কত হবে, তা বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে।

এছাড়াও নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়নের ফলাফলের তথ্য সংরক্ষণ করা হবে একটি অ্যাপে, যেটির নাম ‘নৈপুণ্য’। কমিটি বলেছে, চূড়ান্ত মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুসারে নৈপুণ্য অ্যাপও হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।