আরও চার কর্মকর্তাকে বদলি : পাঠ্যবইয়ে ভুল

২০১৭ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে ভুলের ঘটনায় বুধবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) আরও চার কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার এনসিটিবির সচিবকে স্ট্যান্ড রিলিজ ও এক কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে চার কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় ছয় কর্মকর্তাকে বদলি করা হলো।

বুধবার দুপুরে এনসিটিবির প্রাথমিক শিক্ষাক্রম ইউংয়ের সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নানকে ঝিনাইদহের সরকারি কেসি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, এনসিটিবি সম্পাদক গৌরাঙ্গ লাল সরকারকে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, এনসিটিবি বিশেষজ্ঞ মো. মোসলে উদ্দিন সরকারকে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক এবং এনসিটিবি বিশেষজ্ঞ মো. হান্নান মিঞাকে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের বাংলার সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

বদলির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এসব কর্মকর্তাকে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) মধ্যে অবমুক্ত হবেন, অন্যথায় একই তারিখের অপরাহ্নে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন।

এদিকে, মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এনসিটিবির সচিব ইমরুল হাসানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাকে বুধবারের (৫ এপ্রিল) মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজে যোগদান করতে হবে। অন্যথায় তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য করা হবে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিজামুল করিমকে এনসিটিবির সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এছাড়া অপর আদেশে এনসিটিবির গবেষণা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা লিপিকে রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে বদলি করা হয়।

মঙ্গলবার সচিবের স্ট্যান্ড রিলিজকে বদলি হিসেবেই উল্লেখ করেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘এটাকে স্ট্যান্ড রিলিজ কিভাবে বলবেন। কালকের (বুধবার) তাকে যোগদান করতে বলা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের পাঠ্যবইয়ে ভুল-ভ্রান্তি, ইতিহাস বিকৃতি এবং সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল এনসিটিবির কর্মকর্তা ছাড়াও শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেশকিছু কর্মকর্তার।

জানুয়ারিতে পাঠ্যবইয়ের ভুল-ভ্রান্তি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি গত মাসে এনসিটিবির সচিবসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে দায়ি করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।