নিজস্ব প্রতিবেদক : হরতালে দুই দফা পিছানোর পর অবশেষে শুক্রবার শুরু হয়েছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। এর প্রথম দিনে সারাদেশে ৪৬ হাজার ৪০ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এ ছাড়া পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অপরাধে বিভিন্ন বোর্ডে ৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক দিলারা হাফিজ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানানো হয়। শুক্রবার জেএসসিতে বাংলা প্রথম পত্র ও জেডিসিতে কোরআন মজিদ ও তাজবিদ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকালে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন প্রমুখ।
পরিদর্শনকালে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হরতালকারীরা অমানুষ। এরা ১৯৭১ সালের সময়ও বাংলাদেশের ক্ষতি করেছে, মা-বোনের ইজ্জত নিয়েছে। এখন নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল ও উচ্চ আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। অথচ এর বিরুদ্ধে তারা হরতাল দিচ্ছে এটা অন্যায়। তাদের হরতাল কেউ মানছে না, সব স্থানে গাড়িঘোড়া স্বাভাবিকভাবে চলছে।’
হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অতীতেও একইভাবে সঙ্কটের মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিয়েছে। এবারও সেই একই হরতাল। আপনারা হরতাল প্রত্যাহার করুন। নতুন প্রজন্মের জীবন নিয়ে খেলার অধিকার আপনাদের নেই।’ পরীক্ষা পিছানো সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হরতালে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পরীক্ষা পিছানো হয়েছে।’
এদিকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় সারাদেশে এ বছর ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ শিক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা। যার মধ্যে প্রথম দিন ঢাকা বোর্ডে ১২ হাজার ৭৩৮ জন, রাজশাহী বোর্ডে তিন হাজার ২৯০ জন, কুমিল্লা বোর্ডে তিন হাজার ৫৪২ জন, যশোর বোর্ডে তিন হাজার ৪৯৭ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বোর্ডে দুই হাজার ৯৫ জন, সিলেট বোর্ডে এক হাজার ৮৩২ জন, বরিশাল বোর্ডে দুই হাজার ২০৫ জন এবং দিনাজপুর বোর্ডে দুই হাজার ৫৯৮ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। আর মাদ্রাসা বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ১৪ হাজার ২৪৩ শিক্ষার্থী। এদিকে ঢাকা বোর্ডে একজন ও মাদ্রাসা বোর্ডে চার জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
প্রসঙ্গত ২ নভেম্বর এই পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও হরতালের কারণে ২ দফা পিছিয়ে শুরু হয়েছে শুক্রবার।
by এদিকে শুক্রবার সকালে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন প্রমুখ।
পরিদর্শনকালে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হরতালকারীরা অমানুষ। এরা ১৯৭১ সালের সময়ও বাংলাদেশের ক্ষতি করেছে, মা-বোনের ইজ্জত নিয়েছে। এখন নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল ও উচ্চ আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। অথচ এর বিরুদ্ধে তারা হরতাল দিচ্ছে এটা অন্যায়। তাদের হরতাল কেউ মানছে না, সব স্থানে গাড়িঘোড়া স্বাভাবিকভাবে চলছে।’
হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অতীতেও একইভাবে সঙ্কটের মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিয়েছে। এবারও সেই একই হরতাল। আপনারা হরতাল প্রত্যাহার করুন। নতুন প্রজন্মের জীবন নিয়ে খেলার অধিকার আপনাদের নেই।’ পরীক্ষা পিছানো সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হরতালে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পরীক্ষা পিছানো হয়েছে।’
এদিকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় সারাদেশে এ বছর ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ শিক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা। যার মধ্যে প্রথম দিন ঢাকা বোর্ডে ১২ হাজার ৭৩৮ জন, রাজশাহী বোর্ডে তিন হাজার ২৯০ জন, কুমিল্লা বোর্ডে তিন হাজার ৫৪২ জন, যশোর বোর্ডে তিন হাজার ৪৯৭ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বোর্ডে দুই হাজার ৯৫ জন, সিলেট বোর্ডে এক হাজার ৮৩২ জন, বরিশাল বোর্ডে দুই হাজার ২০৫ জন এবং দিনাজপুর বোর্ডে দুই হাজার ৫৯৮ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। আর মাদ্রাসা বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ১৪ হাজার ২৪৩ শিক্ষার্থী। এদিকে ঢাকা বোর্ডে একজন ও মাদ্রাসা বোর্ডে চার জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
প্রসঙ্গত ২ নভেম্বর এই পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও হরতালের কারণে ২ দফা পিছিয়ে শুরু হয়েছে শুক্রবার।