সারা দেশে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদ শূন্য। এই শূন্যপদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২৪ হাজারেরও কম। আবার এই আবেদন থেকেও বাদ পড়বেন অনেকেই। ফলে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও নানা জটিলতায় ৭৫ শতাংশের বেশি শিক্ষকের পদই ফাঁকা থাকছে।
সোমবার (২০ মে) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে ২৩ হাজার ৯৩২ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। আমরা আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করছি। প্রাথমিক সুপারিশ থেকে কিছু প্রার্থী বাদ পড়তে পারেন।
জানা গেছে, ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে কেবলমাত্র ১৬তম ও ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পেরেছেন। তবে ১৬তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ অধিকাংশ প্রার্থী চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন। ফলে আবেদন আরও কমেছে। এছাড়া ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হলেও বয়স শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই আবেদন করতে পারেননি। এটিও আবেদন কম হওয়ার কারণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা জানান, নিবন্ধন সনদের মেয়াদ তিন বছর। এটি ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে কার্যকর করা হয়েছে। এর ফলে বয়স ৩৫ বছর না হলেও অসংখ্য প্রার্থী আবেদন করতে পারেননি।
এদিকে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ না থাকলেও তারা তথ্য গোপন করে আবেদন করেছেন। সেই আবেদনগুলো খুঁজে বের করতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবেদনগুলো খুঁজে বের করার ওপর প্রাথমিক সুপারিশের সময় নির্ভর করছে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক সুপারিশের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করতে। ইনডেক্সধারীরা গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। কবে সুপারিশ করা হবে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে কোরবানি ঈদের আগেই প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হবে।
এর আগে গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এর মধ্যে স্কুল অ্যান্ড কলেজে পদ সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৮৬, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৭ এপ্রিল থেকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনগ্রহণ শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার আবেদন শেষ হয়েছে। চলতি মাসেই প্রাথমিক সুপারিশ করা হতে পারে।