১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। প্রায় ১৮ লাখ প্রার্থী নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পরিচালক (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) আবদুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্কুল, স্কুল পর্যায়-২ এবং কলেজ পর্যায় মিলিয়ে প্রায় ১৮ লাখ প্রার্থী নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছন। তবে নির্দিষ্ট সংখ্যা জানাতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে চলতি ডিসেম্বর মাসে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজনের কোনো পরিকল্পনা নেই এনটিআরসিএর। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে এই নিবন্ধনের প্রিলি পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির।
এনটিআরসিএ’র একটি সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তা দেখে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হবে। নির্বাচনের আগে পরীক্ষা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে নির্বাচনের পর সহিংসতার আশঙ্কা না থাকলে জানুয়ারি মাসেই পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সদস্য এস. এম. মাসুদুর রহমান বলেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা কবে আয়োজন করা হবে তা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। তবে ডিসেম্বরে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে না বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, প্রিলিমিনারিতে ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে প্রার্থীদের। এই ধাপে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বর। পাস নম্বর ৪০। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১, ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর করে কাটা পড়বে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০%। তিনটি পর্যায়ে অর্থাৎ স্কুল পর্যায়, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ পর্যায়ে পৃথক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার্থীদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্ধারিত স্ব-স্ব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। এই নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে চাকরির সুযোগ পাবেন।