সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা ও মূল্যায়ন আগামী ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এ সময়ে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণিতে বার্ষিক মূল্যায়ন কার্যক্রম চলবে। এ দুই শ্রেণিতে কোনো পরীক্ষা হবে না। আর দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
গতকাল শুক্রবার এ নির্দেশনা দিয়ে জারি করা আদেশ সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিকে শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিক্ষক সহায়িকার নির্দেশনা অনুসরণ করে মূল্যায়ন সম্পন্ন করতে হবে। প্রাথমিক স্তরের পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন করতে হবে। প্রথম শ্রেণিতে কোনোরূপ প্রান্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
অধিদপ্তর বলছে, প্রথম শ্রেণির শিক্ষক সহায়িকার শেষে ধারবাহিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা সংযুক্ত রয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইটেও (www.nctb.gov.bd) এ নির্দেশিকাটি আপলোড করা আছে। এছাড়াও শিক্ষকদের মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা ও তথ্য সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি বিষয়ের শিখনফল বা অর্জন উপযোগী যোগ্যতার নম্বর উল্লেখপূর্বক শিক্ষক ডায়েরি-১ এবং শিক্ষক ডায়েরি-২ নামে ২টি এমএস ওয়ার্ড ও পিডিএফ ফাইল ওই ওয়েবসাইটে আপলোড করা আছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকরা ওই ফাইল ডাউনলোড করে নির্দেশনা অনুযায়ী মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন এবং প্রতি প্রান্তিকে শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির প্রতিবেদন তৈরি করে তাদের দিতে করতে পারবেন।
অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে কোভিড পরিস্থিতির আগে যেভাবে প্রতি প্রান্তিকে প্রতি বিষয়ে ১০০ নম্বরের সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হতো সেভাবে মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।
জানা গেছে, সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসারের তত্ত্বাবধানে বিষয় শিক্ষকের মাধ্যমে জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগমূলক শিখনক্ষেত্র বিবেচনায় বিদ্যালয়, ক্লাস্টার বা উপজেলাভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের থেকে ফি গ্রহণ করা যাবে না। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী প্রশ্নপত্র কম্পিউটারে কম্পোজ করতে হবে। প্রশ্নপত্র প্রিন্ট বা ফটোকপি ও উত্তরপত্রসহ আনুষাঙ্গিক ব্যয় বিদ্যালয়ের আনুষাঙ্গিক খাত বা স্লিপ ফান্ড থেকে নির্বাহ করতে হবে।
এর আগে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা এবং মূল্যায়ন শেষ করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলেছিলো প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।