বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকরা অটো এমপিওভুক্ত হবেন। তাদের পৃথকভাবে এমপিওভুক্তির আবেদন করতে হবে না।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া সময়োপযোগী করতে আয়োজিত কর্মশালায় প্রাথমিকভাবে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর নতুন এমপিও (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) পেতে গেলে অনলাইনে ফাইল প্রথমে সংশ্নিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও বিভাগীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ে যায়। নানা কারণে এসব ফাইল বিভিন্ন পর্যায়ে আটকে থাকে। এর ফলে সদ্য নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন ছাড়াই চাকরি করেন। অথচ তারা এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে সুপারিশ পাওয়ার সময় একই ধরনের কাগজপত্র জমা দিয়ে থাকেন। এই শিক্ষকদের বর্তমানে পুলিশ ভেরিফিকেশনও করা হচ্ছে।
ওই সূত্র আরও জানায়, এমপিওভুক্তির আবেদনের শিক্ষকদের নানা ভাবে হয়রানি করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগও ওঠে। এতে শিক্ষকরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। শিক্ষকদের এসব ভোগান্তি কমাতে পৃথকভাবে এমপিওভুক্তির আবেদন বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য নতুন করে এমপিও নীতিমালা সংশোধন করা হবে। নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে এনটিআরসিএ’র সুপারিশের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সকল ধরনের কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এরপর তারা অটো এমপিওভুক্ত হবেন। পৃথকভাবে এমপিওভুক্তির আবেদন করতে হবে না।
আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করলেই মামলা
কর্মশালায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অটো এমপিওভুক্তির বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কর্মশালায় উপস্থিত সকলেই এই বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওভুৃক্তির বিষয়ে আমরা অটোমেশন পদ্ধতি অবলম্বনের বিষয়ে একমত হয়েছি। এখন থেকে শিক্ষকদের পৃথকভাবে এমপিওভুক্তির আবেদন করতে হবে না। এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে যারা সুপারিশ পাবেন তাদের অটো এমপিওভুক্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে সুপারিশ পান তারা সুপারিশ পাওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের কাগজপত্র জমা দেন। এই কাগজপত্র নতুন করে জমা দেওয়ার কিছু নেই। শিক্ষকদের হয়রানি বন্ধ করতে এখন থেকে এনটিআরসিএ’র সুপারিশের মাধ্যমেই শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারবেন। তাদের পৃথকভাবে আবেদন করতে হবে।