অটোমোশন পদ্ধতিতে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি শুরু

Image

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি শুরু হয়েছে। নানা আলোচনা-সমালোচনার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবারের মতো অটোমোশন পদ্ধতিতে মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এর ফলে টাকার মানদণ্ডের পরিবর্তে মেধার ভিত্তিতে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার (৩ জুলাই) স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী এই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে ভর্তি প্রক্রিয়া। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নির্ধারিত ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকায় ভর্তি হবেন শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে মেধা তালিকা অনুযায়ী ক্ষুদে বার্তা দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন পোস্টগ্রাজুয়েট চিকিৎসকরা

গত ২৭ জুন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক চিকিৎসা শিক্ষা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু থাকলেও বেসরকারি কলেজগুলোতে মেধার চেয়ে টাকার মানদণ্ডে যারা এগিয়ে থাকতেন, তারাই ভর্তির সুযোগ পেতেন। অটোমেশন পদ্ধতিতে মেধাতালিকা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি কলেজে ভর্তির সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। এতে মেধাবীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির অগ্রাধিকার পাবেন।

এর আগে ২০২১ সালে অটোমেশন চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে এতে আপত্তি জানায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মালিকরা। এ নিয়ে মালিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা। তখন মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে আরও এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে অনুযায়ী এবার সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও অটোমেশন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হচ্ছে।

এবারও অটোমেশন পদ্ধতি চালুর বিষয়ে আপত্তি ছিল মেডিকেল কলেজগুলোর মালিকদের। এর মাধ্যমে আসন ফাঁকা থাকা ও পছন্দমতো শিক্ষার্থীরা কলেজ পাবে না ও অনেক শিক্ষার্থীকে ঢাকার বাইরে যেতে হবে বলে জানায় তারা। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একধিকবার চিঠি দিয়েছে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিক অ্যাসোসিয়েশন। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৃঢ়তায় অটোমেশন পদ্ধতিতেই শুরু হলো বেসরকারি মেডিকেল ভর্তি।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।