রংপুরের জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেতে জ্ঞানমূলক পরীক্ষায় বসতে হয়েছে পদ প্রত্যাশীদের। শনিবার (১০ জুন) বেলা ১১টার দিকে নগরীর শিশু নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকটি শ্রেণীকক্ষে ৫০ নম্বরের এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
আরো পড়ুন: কামুক দৃশ্যে পরিপূর্ণ ‘মালাই’ এর ট্রেলার, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে জানানো হয় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দীক্ষিত স্মার্ট লিডারশীপ তৈরির লক্ষ্যে জীবনবৃত্তান্ত গ্রহণের পাশাপাশি এ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এক ঘণ্টার এ পরীক্ষায় ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বই তিনটি থেকে প্রশ্ন করা হয়। জ্ঞানমূলক এ পরীক্ষায় প্রায় ছয় শতাধিক পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মী অংশ নেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম তানিম আহসান চপল বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে মনে করি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রথম শর্ত স্মার্ট জেনারেশন তৈরি, স্মার্ট সিটিজেন তৈরি। কাজেই স্মার্ট সিটিজেন গড়তে গেলে ছাত্রসমাজকে স্মার্ট হতে হবে। আর ছাত্রসমাজকে স্মার্ট হতে হলে ছাত্র সংগঠনগুলোকে প্রথম ভূমিকা রাখতে হবে। সেই ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে রংপুর জেলা ছাত্রলীগ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য ধারাবাহিকভাবে স্মার্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং বাস্তবায়ন করে যাবে।
আরো পড়ুন:
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাব্বির আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বপ্রথম ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা সবার কাছে নিয়ে আসেন। ২০২১ সালের অনেক আগেই ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। আগামীতে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণ ও বিশ্বায়নের যুগে সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমৃদ্ধশালী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। আর তাই ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকেও স্মার্ট হতে হবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দীক্ষিত হয়ে স্মার্ট নেতৃত্ব দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই বঙ্গবন্ধুর জীবন-আদর্শ সম্পর্কে জানেন না। কিন্তু তারাও নেতা নির্বাচিত হন। নেতা নির্বাচনের জন্য পরীক্ষার মাধ্যমে তারা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবেন, শিখতে পারবেন। ‘কারাগারের রোজনামচা’,‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বই থেকে আমরা পরীক্ষা নিচ্ছি। এই পরীক্ষার মাধ্যমে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হলো।