নিজস্ব প্রতিবেদক,১৬ ফেব্রুয়ারী
সাধারণ বিসিএসে প্রবেশের সুযোগ ৩২ বছর কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসাথে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস কমিশনের বয়স, যোগ্যতা ও চাকরির আবেদনের বিধিমালা-২০১৪ এর ১৪ বিধি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বয়স, যোগ্যতা ও চাকরির আবেদনের বিধিমালা-২০১৪ এর ১৪ বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটে সাধারণ বিসিএসে প্রবেশের সুযোগ ৩২ বছর চাওয়া হয়।
রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বয়স, যোগ্যতা ও চাকরির আবেদনের বিধিমালা-২০১৪ এর ১৪ বিধিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এই বিধিতে বলা আছে, যারা সাধারণ বিসিএস ক্যাডারে পরীক্ষা দেবে, তারা ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারবে।
অথচ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় ৩২ বছর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, ১৪ উপবিধিতে বলা আছে, শিক্ষা ক্যাডারেও ৩২ বছর পর্যন্ত পরীক্ষার সুযোগ পাবে।
আইনজীবী বলেন, জুডিশিয়াল সার্ভিসে ৩২ বছর পর্যন্ত সুযোগ পাচ্ছেন। অথচ সাধারণ বিসিএসে অংশগ্রহণকারীরা ৩০ বছর পর্যন্ত সুযোগ পাবেন। এটা সাংঘর্ষিক। চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে যেন সবার সমান অধিকার নিশ্চিত হয় রিটে আমরা তা চেয়েছি।
৩০ বছর পার হওয়ায় বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত বিজিত শিকদারসহ পাঁচ শিক্ষার্থী রিটটি দায়ের করেন।