মুসলিম মেয়ের সঙ্গে প্রেমের দায়ে বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্র জয়দেবকে চোখ তুলে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলাও করা হয়েছে।
জানা গেছে পিরোজপুরের ভা-ারিয়ার দক্ষিণ পূর্ব ভা-ারিয়া গ্রামের চায়ের দোকানী বাবুল চন্দ্র পাইকের ছেলে বরিশাল বিএম কলেজে অধ্যয়নরত জয়দেব কুমার পাইক। তার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার ছোনাউটা গ্রামের শাহেদ আলী খানের মেয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী খাদিজা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
এই অপরাধে স্থানীয় একটি মহল পরিকল্পিত ভাবে জয়দেবের চোখ তুলে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে গ্রামবাসির হাতে ডাকাত আটকের পর গণপিটুনীতে নিহত হয়েছে বলে প্রচারণা চালানো হয়।
এই ঘটনায় কাঁঠালিয়া উপজেলার ছোনাউটা গ্রামের গ্রামপুলিশ সোহেল খলিফা বাদি হয়ে গত ৭ অক্টোবর কাঁঠালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত ৭০/৮০জনকে আসামী করা হয়।
তবে নিহত জয়দেবের পরিবারের দাবি, জয়দেব পাইকের সাথে মাদ্রাসা ছাত্রী খাদিজা আক্তারের হৃদয় ঘটিত সম্পর্কের অপরাধে গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় ডেকে নিয়ে তার চোখ তুলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
পরিবারের অভিযোগ ওই স্থানীয় গ্রামপুলিশ সোহেল খলিফা, খাদিজার পরিবাবের সদস্যসহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে এ নৃশংস হত্যাকা- চালায়। এ ঘটনায় নিহত জয়দেবের বাবা ছেলে হত্যায় ১৬জনকে অভিযুক্ত করে গত ২৭ অক্টোবর ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আজ শুক্রবাবার সকালে নিহত জয়দেবের পরিবার ভা-ারিয়ায় প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে কাঁঠালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহিদ হোসেন বলেন, জয়দেবের বাবার আদালতের মামলার কোন কাগজ পত্র তার কাছে আসেনি। আসলে আদালতের নিদের্শনা অনুযায়ী একত্রে দুই মামলার তদন্ত করা হবে।
সুত্র: মানবজমিন
by