১৬৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ,শ্রীলঙ্কা 34/2

Image

বাংলাদেশ দলের এশিয়া কাপ মিশন মোটেও সুখকার হয় নি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শান্ত ছাড়া কেউই টিকতে পারেননি। একাই লড়লেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু সতীর্থরা কেউই তাকে বলার মতো সঙ্গ দিতে পারলেন না।

শেষ পর্যন্ত শান্তও সাজঘরে ফেরেন সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে। ৪২.৪ ওভারেই বাংলাদেশ অলআউট হলো ১৬৪ রানে। অর্থাৎ জিততে হলে শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে ১৬৫।

এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ।অধিনায়ক সাকিব আল হাসান প্রথমে নেন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত।

কিন্তু ব্যাটিংয়ের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় টাইগাররা। অভিষেক ম্যাচটা রাঙাতে পারলেন না তরুণ তানজিদ হাসান তামিম। দ্বিতীয় ওভারে লঙ্কান বিস্ময় স্পিনার মাহিশ থিকসানার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তামিম (২ বলে ০)।

এরপর নাইম শেখকে তুলে নেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ধনঞ্জয়াকে এগিয়ে মারতে গিয়েছিলেন নাইম, কিন্তু স্লোয়ার ডেলিভারি বুঝতে না পেরে বল আকাশে তুলে দেন। পয়েন্টে সহজ ক্যাচ নেন নিশাঙ্কা। ২৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৬ রানেই থামে নাইমের ইনিংস। ২৫ রানে ২ উইকেট হারায় টাইগাররা।

সাকিব শুরু করেছিলেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। কিন্তু লঙ্কান ‘জুনিয়র মালিঙ্গা’ মাথিসা পাথিরানার গতিময় এক ডেলিভারি বুঝতে না পেরে ব্যাট চালিয়ে দেন সাকিব। উইকেটরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়ে নেন ক্যাচ। ১১ বলে ৫ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে।

৩৬ রানে নেই ৩ উইকেট। একের পর এক উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে নাজমুল হোসেন শান্ত আর তাওহিদ হৃদয় দলকে এগিয়ে নেন অনেকটা সময়। শান্ত তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি।

কিন্তু এরপরই আঘাত। শান্ত-হৃদয়ের জুটিটি ৫৯ রানেই থামিয়ে দেন দাসুন শানাকা। তাওহিদ হৃদয়ের এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে ঠিকই জিতে যায় শ্রীলঙ্কা। হৃদয় ৪১ বলে করেন ২০ রান, তার ইনিংসে ছিল না কোনো বাউন্ডারির মার। মুশফিক ভুলটা করে বসলেন ব্যক্তিগত ১৩ রানে (২২ বলে)। ১২৭ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর মেহেদি হাসান মিরাজ (৫) রানআউট হন শান্তর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে। সুবিধা করতে পারেননি শেখ মেহেদিও। ৬ রান করে ওয়াল্লালেগার বলে এলবিডব্লিউ হন এই লোয়ার অর্ডার ব্যাটার। একটা প্রান্ত ধরে শান্ত খেলছিলেন। কিন্তু সেঞ্চুরির কাছে এসে হতাশ বদনে ফিরতে হয়েছে তাকেও।

ব্যক্তিগত ৮৯ রানে মাহিশ থিকসানার ঘূর্ণি বল মিস করে বোল্ড হন শান্ত। বাঁহাতি এই ব্যারের ১২২ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি বাউন্ডারির মার। শান্ত ফেরার পর আর সময় লাগেনি লঙ্কানদের। ২ রান যোগ করেই অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।

লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মাথিসা পাথিরানা। ৩২ রানে তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট শিকার মাহিশ থিকসানার।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।