স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার উপায়

Image

পেটে আছে তো মুখে আসছে না’—এমন পরিস্থিতিতে কমবেশি সবাই পড়েন। দুর্বল স্মৃতিশক্তির অনেকেই হতাশায় ভোগেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং সুস্থ জীবনধারা স্মৃতিশক্তি ক্ষুরধার রাখতে অনেক উপকারী। স্মৃতিশক্তি ঠিকঠাক রাখার আছে নানা উপায়।

– ব্যায়াম, মেডিটেশন ও মননশীলতা অনুশীলন করুন।

– প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এক মুঠো বাদাম, কুমড়ার বীজ, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি রাখুন।

– পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ফাস্টফুড ও মাদক পরিহার করুন।

– মাঝে মাঝে গান শুনুন।

গবেষণা বলে, গান শোনার সময় মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়ে ওঠে।

– যখনই যা কিছু পড়বেন, তা চোখের সামনে চিত্রায়িত করুন।

– পর্যাপ্ত ঘুম আবশ্যক। কারণ সারা দিন যা পড়বেন, তা আপনার ঘুমের ‘ডিপ স্লিপ’ স্টেজে মেমোরি হিসেবে সংরক্ষিত হয়।

আর অপর্যাপ্ত ঘুম খুবই ক্ষতিকর।

– মাছ ও মাছের তেলের পরিপূরক স্মৃতিশক্তি উন্নতিতে অতি উপকারী। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড বিদ্যমান, যা স্মৃতিশক্তির জন্য খুবই উপকারী। যেমন—সামুদ্রিক মাছ, রুই-কাতল জাতীয় মাছ ইত্যাদি।

– বজায় রাখুন মাঝারি ওজন।

– মস্তিষ্কেরও কিছু ব্যায়াম রয়েছে, সেগুলো প্রত্যহ চর্চা করতে হবে। এগুলোকে ব্রেন ট্রেনিং প্রগ্রাম/ব্রেনস এক্সারসাইজ বলে। যেমন—ধাঁধা, ক্রসওয়ার্ড, ওয়ার্ড-রিকল গেমস, টেট্রিস, স্ক্রেবল, দাবা এবং অনলাইনে বিভিন্ন মস্তিষ্ক প্রশিক্ষণ অ্যাপও আছে।

– রক্তে ভিটামিন ডির মাত্রা স্বাভাবিক রাখুন।

– অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার খান। যেমন—ব্রকলি।

– ফ্লেভনয়েডসসমৃদ্ধ খাবার খান। ডার্ক চকোলেটে কোকোয়া নামক একটি উপাদান আছে, যা ফ্লেভনয়েডসসমৃদ্ধ।

– সব সময় গঠনমূলক এবং নতুন কিছু শিখুন। আবার যা শিখবেন তা চর্চায় রাখুন। তাতে মস্তিষ্কে সিন্যাপ্স হবে, যা স্মৃতিশক্তিতে অপরিহার্য। যেমন—নতুন ভাষা।

– পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের ব্যবহার মনোযোগ দিয়ে করুন। আবার চোখ বন্ধ করে কিছু করার চেষ্টা করুন অথবা প্রতিনিয়ত যে হাত ব্যবহার করেন যে কাজের জন্য, অন্য হাতে সেই কাজ করার চেষ্টা করুন। আবার কখনো কখনো একই সঙ্গে একাধিক কাজ করার চর্চা করুন। এগুলোতে মস্তিষ্কের কিছু অংশ সক্রিয় হয়ে উঠবে, যা সাধারণত নিষ্ক্রিয় থাকে।

– আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুন।

– হলুদের মূলে পাওয়া যায় কারকিউমিন। এটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রদাহবিরোধী। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বেশ কার্যকর।

– ফ্ল্যাক্সসিড, আলফা লিনোলিক এসিডসমৃদ্ধ খাবার খান। যেমন—আখরোট।

– প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন।

– সব সময় কিছু না কিছু লেখার অভ্যাস করুন।

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. রুবাইয়াৎ ফেরদৌস
সাইকিয়াট্রিস্ট, অ্যাডিকশন অ্যান্ড সেক্সুয়াল হেলথ স্পেশালিস্ট কনসালট্যান্ট, লাইফ স্প্রিং লিমিটেড

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।