শ্রেণিকক্ষের দাবিতে ইবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন শিক্ষার্থীদের

ইবির দ্বিতীয় মেধাতালিকা

ইবি প্রতিনিধি | ২২ জানুয়ারি, ২০২৩

ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শ্রেণিকক্ষের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার বিভাগটির তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা থাকলেও তা বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বন্ধ রয়েছে অন্যান্য সেশনের ক্লাস ও পরীক্ষা।

আরো পড়ুন:যবিপ্রবির অপেক্ষমান তালিকা: ভর্তিচ্ছুদের আজ চূড়ান্ত ভর্তির সুযোগ

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। পরে শ্রেণিকক্ষসহ দুই দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, যাত্রা শুরুর ৪ বছরেও স্থায়ী কোন শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ পায়নি বিভাগটি। বর্তমানে অস্থায়ীভাবে বরাদ্দকৃত শুধু একটি কক্ষ থাকলেও ৪টি সেশনের ক্লাস নিতে হিমশিম খাচ্ছে বিভাগটি। বিভিন্ন সময়ে শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দের দাবি জানালে মীর মশাররফ হোসেন ভবনের চতুর্থ তলার নির্মাণকাজ শেষে সেখানে অর্ধেকাংশ বরাদ্দ দেওয়ার আশ্বাস দেয় প্রশাসন। তবে এখন কক্ষগুলো দখলের জন্য আরেকটি বিভাগ থেকে সেখানে আসবাবপত্র ঢোকানো হয়েছে।

শ্রেণিকক্ষ হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় গত মঙ্গলবার কক্ষ দখলের জন্য ওই ফ্লোরের কক্ষগুলোয় তালা দেন ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন থেকে আশানুরূপ ঘোষণা না পাওয়ায় শ্রেণিকক্ষের দাবিতে শনিবার আবারও মানববন্ধন শুরু করেন তারা। এছাড়া কক্ষগুলোতে তালা দেয়ার পর বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা হুমকির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করে এর বিচার চান তারা।

এবিষয়ে বিভাগটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতার বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমাদের বিভাগের জন্য কোনো শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ ছিল না। শিক্ষার্থীরা ক্লাস, সেমিনারসহ বিভিন্ন একাডেমিক কাজে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়েছে। আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে ক্লাস-পরীক্ষায় ফেরানোর চেষ্টা করছি, পাশাপাশি প্রশাসনকেও বিষয়টি অবগত করেছি। আশা করছি প্রশাসন দ্রুত শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে যাতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষার কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।

এ বিষয়ে উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ভবনটির কাজ এখনো চলমান রয়েছে। এখনো কোনো বিভাগকেই কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হয়নি। কাজ শেষ হলে আমরা বরাদ্দের বিষয়ে আগাবো। কেউ শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়ে থাকলে সেটাও গুরুতর অপরাধ। উপাচার্য মহোদয় আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।