ঢাকা: শিশু আইনের অস্পষ্টতার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের ড্রাফটিং ও লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিব এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে এ বিষয়ে আগামী ২৬ আগস্ট পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
শিশু ধর্ষণের চারটি মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক আসামির জামিন আবেদন শিশু আদালতে শুনানি হওয়ায় গত মার্চ মাসে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর ও কক্সবাজারের শিশু আদালতের বিচারকদের কাছে ব্যাখ্যাও তলব করেছিলেন আদালত।
হাইকোর্টের ওই আদেশের পর সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকরা তাদের ব্যাখ্যা দাখিল করেন। ওই ব্যাখ্যা দাখিলের পর হাইকোর্টে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি হয়।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ২০১৩ সালে প্রণীত শিশু আইনে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধের শিকার বা ভিকটিম এবং সাক্ষী শিশু হলে ওই মামলার বিচার শিশু আদালতে হবে। কিন্তু, আসামি প্রাপ্তবয়স্ক হলে এবং অপরাধ যদি গুরুতর বিশেষ করে হত্যা হয়, তাহলে এর বিচার কোথায় হবে, সেটি আইনে বলা নেই। যদিও প্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিচার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হয়ে থাকে। কিন্তু, এটি আইনে স্পষ্ট করে দেয়ার দরকার ছিল।
তিনি আরও বলেন, নারী নির্যাতন আইনে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু, শিশু আইনে তা নেই। ফলে প্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিচার কোথায় হবে, এটা এই আইনে উল্লেখ করে দিলেই অস্পষ্টতা দূর হতো। এই অস্পষ্টতা দূরীকরণের জন্য আইনটি সংশোধন হওয়া দরকার।
by