শিক্ষার দয়াতেই এখনও চলে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন কাজ

national sang

পৃথক প্রকৌশল অধিদফতর স্থাপনের সুপারিশ

ডেস্ক: সারাদেশে যে পরিমাণ মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এসবের প্রায় দ্বিগুন বেশি রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিচালনার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নামে একটি পৃথক মন্ত্রণালয়ও রয়েছে। অথচ স্কুলের ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এখনও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দয়া ভিক্ষা নিয়েই করতে হয়। ফলে যথাসময়ে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হয় না।
জাতীয় সংসদ ভবনে বুধবার অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এনিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। কমিটি অতিদ্রুত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকৌশল অধিদফতর স্থাপনের তাগিদ দিয়েছে।
কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ ইলিয়াছ এবং উম্মে রাজিয়া কাজল অংশ নেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম খানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশে ২৪ ক্যাটাগরিতে ১ লাখ ২২ হাজার ১৭৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে সরকারি বিদ্যালয় ৩৭ হাজার ৬৭২। নতুন করে রেজিস্টার্ড আরও ২৬ হাজার ১৯৩টিকে সরকারিকরণ করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণসহ নানা ধরনের উন্নয়ন কাজ করতে হয় বছরজুড়ে। অথচ শিক্ষা অধিদফতরের তত্ত্বাবধানেই এখনও উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করতে হচ্ছে। ভবন নির্মাণসহ যেকোনো উন্নয়ন কাজের জন্য শিক্ষা অধিদফতরে আবেদন করার পর প্রয়োজনিয় বাজেট অনুমোদন স্বাপেক্ষে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর, এলজিইডি এবং অনেক সময় প্রজেক্ট গ্রহণ করে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমেও কাজ করানো হয়। এতে সময়ের কাজ সময়ে হয় না। তারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পুথক প্রকৌশল অধিদফতর স্থাপনের জোড় সুপারিশ করেন।
এদিকে সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়ন, বিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিতভাবে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার এবং প্রশাসনিক কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য উপজেলা ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পদ সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া বৈঠকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট (পিটিআই) বিহীন ১২টি জেলা সদরে ইনষ্টিটিউট স্থাপন কার্যক্রম দ্রুতগতিতে সম্পাদনের সুপারিশ করা হয়।
Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।