চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ঃ চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী সুরাইয়া সুলতানা রিমুর খাতা এক ঘন্টার জন্য কেড়ে নেন অভিযুক্ত শিক্ষক হাসানুজ্জামান । শিক্ষকের এমন খামখেয়ালীপনানবম শ্রেনীর ছাত্রীর বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ । সহপাঠির আত্মহত্যা ঘটনার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেড় ঘন্টা সড়ক অবরোধ করেছে। আজ রবিবার বেলা দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত এ অবরোধ চলে। ওইসময় চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রীদের শনিবার ছিল অংক পরীক্ষা। পরীক্ষা চলাকালে নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুরাইয়া সুলতানা রিমুর খাতা এক ঘন্টার জন্য কেড়ে নেন পরীক্ষা গ্রহণে দায়িত্বরত শিক্ষক হাসানুজ্জামান। পরীক্ষা শেষে সুরাইয়া সুলতানা রিমু বাড়ি ফিরে তার মাকে জানায়, অংক পরীক্ষায় সে পাশ করতে পারবে না। পরে সন্ধ্যায় নিজ ঘরে গলায় ওড়ানার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সুরাইয়া। রবিবার স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বেলা দেড়টায় শিক্ষক হাসানুজ্জামানের শাস্তির দাবিতে স্কুলের সামনের প্রধান সড়ক অবরোধ করে। শিক্ষার্থীরা স্কুলের প্রধান সড়কের সামনে রাস্তার ওপর বসে পড়ে। এতে এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস স্কুলে এসে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রাজ্জাককে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এ কমিটিকে আগামি সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করতে হবে বলে নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণার পরপরই বেলা তিনটার দিকে শিক্ষার্থীরা তাদের সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
বিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, সুরাইয়া সুলতানা পরীক্ষা চলাকালে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল। এজন্য দায়িত্বরত শিক্ষক হাসানুজ্জামান তার খাতা প্রায় এক ঘন্টার জন্য আটকে রাখেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত শেষে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।