যশোরে এমপিও বিড়ম্বনায় শিক্ষক ॥অনৈতিক ফায়দা লোটার অভিযোগ

যশোর অফিস ॥ ১২ দিন ধরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগে সার্ভার সমস্য চলছে। এ কারণে যশোর জেলার শিক্ষকেরা তাদের এমপিওভুক্তির আবেদন করতে পারছেন না। এ বিয়েয়ে প্রতিদিন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জেলা শিক্ষা অফিসে ধরনা দিয়েও কোন সুরাহা করতে না পারায় চরম হতাশায় ভুগছেন। আগামী ১০ এপ্রিল হচ্ছে আবেদনের শেষ তারিখ।

যশোর জেলা শিক্ষা অফিসে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী শিক্ষক জানান, তারা নিয়ম মাফিক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষকতার পেশায় যোগ দিয়ে এমপিওভুক্তির আশায় দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছেন। কারও কারও এ অপেক্ষার পালা বছর এমনকি তারও বেশি পার হয়ে গেছে। এখন এমপিওভুক্তির আবেদন করতে গিয়ে তারা পড়েছেন আর এক বিড়ম্বনায়। এমপিওভুক্তির আবেদন করতে হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। কিন্তু সার্ভার সমস্যার কারণে কেউ ওই আবেদন পেশ করতে পারছেন না। শিক্ষকরা জানান, এই আবেদন করার সময় আগে ১২টি ডকুমেন্ট সংযুক্ত করতে হতো। পরবর্তীতে ২৭টি ডকুমেন্ট সংযুক্ত করার নিয়ম করা হয়। এই নিয়মটি করার দু’একদিনের মধ্যে আরও দু’টি ডকুমেন্ট বাড়িয়ে ২৯টি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা সব ডকুমেন্ট জোগাড় করে আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠাতে গেলে সার্ভার সমস্যার কারণে পাঠানো যাচ্ছে না। শিক্ষকরা এ বিষয় নিয়ে খুলনা ডিডিপিআই অফিসে যোগাযোগ করলে তাদের জানানো হচ্ছে সার্ভারে কাজ হচ্ছে। চেষ্টা করতে থাকুন সব ঠিক হয়ে যাবে। গত ২৫ মার্চ থেকে এ অবস্থা চললেও সার্ভার সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। অথচ আগামী ১০ এপ্রিল হচ্ছে এমপিওভুক্তির আবেদনের শেষ তারিখ।

এ বিষয়ে খুলনা বিভাগের ডিডিপিআই অফিসে যোগাযোগ করলে বিদ্যালয় পরিদর্শক নিভারাণী পাঠক জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ১০ এপ্রিল সময় বেঁধে দিয়েছেন। সময় আর বাড়ানো হবে না। সার্ভার আপলোড করার কারণে টেকনিক্যাল সমস্যা দেখা দিয়েছে। আশা করা যায় ১০ তারিখের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা অনেকেই অভিযোগ করেছেন, অনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য এই টেকনিক্যাল সমস্যা ইচ্ছাকৃত সৃষ্টি করা হয়েছে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।