যশোরের ৩৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই

education-for-allমিল্টন, যশোর : যশোর জেলায় তিন শত চল্লিশটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে পদগুলি শূন্য থাকায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা ও পাঠদানে প্রভাব পড়ছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষকদের পাঠদানের পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজে সময় বেশি দিতে হচ্ছে। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোরের আট উপজেলায় মোট এক হাজার ২৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে ৩৪০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে সদর উপজেলায় ৪৬টি, শার্শা উপজেলায় ২৬টি, মনিরামপুর উপজেলায় ৭২টি, বাঘারপাড়া উপজেলায় ৩৩টি, ঝিকরগাছা উপজেলায় ২৫টি, চৌগাছা উপজেলায় ৩০টি, কেশবপুর উপজেলায় ৩৬টি ও অভয়নগর উপজেলায় ৩২টি।

এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

এ বিষয়ে যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সভা, প্রতিবেদন তৈরি ও দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। সহকারী শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন। প্রধান শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ করে সহকারী শিক্ষকদের পক্ষে সঠিকভাবে পাঠ দান কঠিন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া শিক্ষক সঙ্কটের কারণে তাদের অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হয়। একজন শিক্ষকের পক্ষে আটটি ক্লাস নিয়ে সঠিকভাবে পাঠদান করা সম্ভব নয়। এতে শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী শিক্ষাসমাপনী পরীক্ষায় এর প্রভাব পড়বে। প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদগুলোতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান তিনি।

যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার অধিকারী বলেন, বিদ্যালয়ে দফতরিক ও অফিসিয়াল সব কার্যক্রম প্রধান শিক্ষক নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ের পাঠদানসহ সব কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।