বন্ধ দেশের প্রায় ১০ হাজার কিন্ডারগার্টেন

kindergarten_shikkha

নিজস্ব প্রতিবেদক,২৯ আগষ্ট:
করোনায় বিধ্বস্ত পুরো শিক্ষাঙ্গন। গত দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে রয়েছে কিন্ডারগার্টেন স্কুলও। যাদের বাড়ি ভাড়াসহ সকল খরচ মেটাতে হয় শিক্ষার্থীদের বেতন থেকে। পায় না কোনো সরকারি অনুদানও। এরমধ্যে বাড়িভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে না পারায় বন্ধ হয়েছে দেশের প্রায় ১০ হাজার কিন্ডারগার্টেন। যারা আর শিক্ষা কার্যক্রমে যাবে না।

বাংলাদেশে কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ থেকে জানা যায়, দেশে কিন্ডারগার্টেনের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। যার প্রায় ১০ হাজার (২০ শতাংশ) কিন্ডারগার্টেন আর শিক্ষা কার্যক্রমেই যাবে না।

কিন্ডারগার্টেন সংশ্লিষ্টদের থেকে জানা যায়, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ স্কুল খুললেও তাঁদের শিক্ষার্থীদের খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। কারণ বছরের শেষ সময়ে কেউ স্কুলে আসবে না। অনেক অভিভাবকই মনে করবেন, স্কুলে আসতে হলে হয়তো ভর্তি ফিসহ পুরো বছরেরই বেতন দিতে হবে। এ কথা চিন্তা করে তাঁরা তাঁদের বাচ্চাদের কিন্ডারগার্টেনে পাঠাবেন না। এ ছাড়া অনেক শিক্ষার্থীকে কাজে দিয়ে দিয়েছেন অভিভাবকরা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রতন চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিসি ছাড়াই ভর্তির সুযোগ রাখা হয়েছে এবার। কিন্ডারগার্টেনে পড়ুয়া কোনো শিক্ষার্থী যদি আমাদের বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায়, তাহলে তার কোনো কাগজপত্র লাগবে না। আমাদের আসনও পর্যাপ্ত রয়েছে।

জানা যায়, ছোটখাটো কিন্ডারগার্টেনে নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানরাই বেশি পড়ে। করোনার এই দুঃসময়ে দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ায় অনেক অভিভাবকই রাজধানী ছেড়েছেন। অনেকেই গ্রামের বাড়িতে পাড়ি জমিয়েছেন। এ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিসি (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) ছাড়াই ভর্তির সার্কুলার জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। যাতে যেসব কিন্ডারগার্টেন এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে বা যাঁরা গ্রামে চলে গেছেন, তাঁরা তাঁদের সন্তানদের কাছাকাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিসি ছাড়া ভর্তি করাতে পারেন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।