ঢাকা : দুর্নীতির অভিযোগে এবার কাজী (নেকাহ রেজিঃ), প্রাইমারি ও হাইস্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। একইসঙ্গে একজন ব্যবসায়ী ও রাজউকের কর্মকর্তাসহ গ্রেপ্তার করা হয় ৫ জনকে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ তথ্য দিয়েছেন। রোববার দুদকের বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, দুদকের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দীকের নেতৃত্বে একটি টিম রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে রাজউকের তত্ত্বাবধায়ক তাহমিদুল ইসলাম মিলনকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দু’টি মামলা করা হয়। এর একটি হল- মিথ্যাভাবে নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বিদেশ ভ্রমণ। অন্যটি হল- ব্র্যাক ব্যাংকের বিজয়নগর শাখায় তার হিসাব নম্বরে ৯৮ লাখ ১৫ হাজার ৪০০ টাকার অবৈধ লেনদন। এ দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে, খুলনা থেকে মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্টার কাজী মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে দুদকের সহকারী-পরিচালক মাহতাব উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে তালাকপ্রাপ্ত নারী-পুরুষকে দেখিয়ে ১০ লাখ টাকার ভুয়া (দেনমোহর) কাবিনামা তৈরির অভিযোগে ২০১৫ সালের নভেম্বরে খুলনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছিল। এ মামলা দায়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে, কুষ্টিয়া থেকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. দিরাজ আলীকে গ্রেপ্তার করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক রবীন্দ্রনাথ দাসের নেতৃত্বে একটি টিম। প্রাথমিকে চাকরি দেয়ার নাম করে ২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুষ্টিয়ার সিরাজুল হক মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জালাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল গাফফার। চাকরি দেয়ার নাম করে ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপরদিকে, চট্টগ্রামের এফএফ অ্যাপারেলস গার্মেন্টসের ডিএমডি মো. সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেন দুদকের পরিচালক মো. আবদুল আজিজ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি টিম। উত্তরা ব্যাংকের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখা থেকে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় ২০০৩ সালে একটি মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
by