প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল। মহাপরিচালক যা বললেন

পদোন্নতি

নিজস্ব প্রতিবেদক,৪ নভেম্বর ২০২১ঃ
সারা দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ৯-৩-১৪ হতে ১৪-১২-২০১৫ খ্রিঃ পর্যন্ত টাইমস্কেল পেলেও একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে মাঠ পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক প্রধান শিক্ষকদেও মধ্যে হতাশা ও ক্ষেভের সঞ্চার হয়েছে।

সুত্র জানায়,অর্থ বিভাগের ০৪/১২/২০১৩ তারিখের ২৮৩ নং পত্রের সম্মতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেড থেকে ১১তম ও ১৪তম গ্রেড থেকে ১২ তম গ্রেডে উন্নিত করা হয়। একইসাথে তাদের পদমর্যাদা ৩য় শ্রেণি থেকে ২য় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। বেতন গ্রেড উন্নীত হওয়ার পর থেকে প্রধান শিক্ষকগণ ০৯/০৩/১৪ হতে ১৪/১২/২০১৫ সময়ের টাইমস্কেল পাচ্ছেন না।
আরো পড়ুনঃ

প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকরা টাইমস্কেল জটিলতায় অর্থমন্ত্রনালয়ের বক্তব্য

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হচ্ছে ৬৩ হাজার ৬০১। এসব স্কুলে প্রধান শিক্ষক রয়েছেন ৫৫ হাজারের মতো। অন্য সব স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ বর্তমানে শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয় রয়েছে ২৬ হাজার। ২০০৩,২০০৬,২০০৭ সালে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আছেন ৪০০০ এর কাছাকাছি যারা ১ম এবং ২য় টাইমস্কেল বঞ্চিত। জাতীয়করণ প্রধান শিক্ষক বাদে বাকি ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক টাইমস্কেল পেয়েছেন।

সাত বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা! পাচ্ছেন না টাইমস্কেলও

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার সহস্রাধিক প্রধান শিক্ষক তাদের প্রাপ্য টাইম স্কেল না পেয়ে হতাশ। একটি টাইম স্কেল পেলে একজন প্রধান শিক্ষকের বেতন এক ধাপ (গ্রেড) ওপরে যায়। ২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকরের পর থেকে টাইম স্কেল উঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এসব শিক্ষকের পাওনা তার আগের। এ বাবদ সরকারের কাছে তাদের পাওনা হয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলম মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল সমস্যাটি আমি জানি। এটি তাদের প্রাপ্যই নয়, এটা এই শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা। আমি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব থাকাকালে এই প্রাপ্য তাদের দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার চিঠি লিখেছি। এর যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি। এখনও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছি।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।