ডেস্ক: বেশির ভাগ প্রাইমেট এবং মাংসাশী প্রাণীর পুরুষাঙ্গে হাড় থাকে। কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষরা তাদের পুরুষাঙ্গের হাড় হারিয়েছেন কয়েক লাখ বছর আগে।
বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন, কেন আমাদের মানুষদের পুরুষাঙ্গে হাড় নেই। যেমনটা আছে শিম্পাঞ্জি, ভাল্লুক এবং অন্যান্য বেশির ভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণীর পুরুষাঙ্গে।
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে পুরুষাঙ্গের বিবর্তন ঘটে ১৪৫ থেকে ৯৫ মিলিয়ন বছর আগে। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এক নতুন গবেষণায় এমনটাই প্রমাণিত হয়েছে।
গবেষণাটির প্রধান গবেষক, ম্যাটিল্ডা ব্রিন্ডল দ্য ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, মানুষদের পুরুষাঙ্গে হাড় না থাকার একটি কারণ আমরা খুব বেশি সময় ধরে যৌন মিলন করি না যে আমাদের পুরুষাঙ্গে হাড় থাকা লাগবে।
তিনি বলেন, মাংসাশী এবং প্রাইমেটদের একই উত্তরসূরিদের পুরুষাঙ্গে হাড় ছিল।
যেসব প্রাইমেট তিন মিনিট বা আরো বেশি সময়ের জন্য যৌন মিলন করে তাদের পুরুষাঙ্গে হাড় থাকে। অন্যদিকে, যে প্রাইমেটরা তিন মিনিটের কম সময় ধরে যোনিবিদ্ধ করে তাদের পুরুষাঙ্গে হাড় থাকে না।
মানুষ পুরুষদের যৌনিবিদ্ধকরণ সময়কাল হয় গড়ে মাত্র দুই মিনিটেরও কম। যা বেশির ভাগ মানুষেরই কাম্য নয়।
আয়ে-আয়ে নামের এক নিশাচর লেমুর একবারে টানা এক ঘণ্টা ধরে সঙ্গম করে। আর এই প্রাণীর পুরষাঙ্গের হাড়টিও অনেক লম্বা।
মিজ ব্রিন্ডল বলেন, মৌসুমি প্রজননে অভ্যস্ত এবং বহুগামী প্রজননপদ্ধতির প্রজাতিগুলোর মধ্যেও লম্বা পুরষাঙ্গের হাড় দেখা যায়।
বহুগামী যৌনতা বা প্রজননপদ্ধতি বলতে বুঝায় একাধিক নারী-পুরুষের পরস্পরের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়া। যেমনটা দেখা যায় শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে।
by