নতুন শিক্ষাক্রম: যেভাবে তৈরি হবে প্রশ্নপত্র

Image

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষার মূল্যায়নে হাতে–কলমে কাজের পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষাও থাকছে। তবে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তর দেওয়ার ধরন মুখস্থনির্ভর হবে না। শিক্ষার্থীরা শিক্ষাক্রম অনুযায়ী যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, সেগুলো মূলত সৃজনশীল উপায়ে লিখতে হবে।

প্রয়োজনীয় নির্দেশনাসহ প্রশ্নপত্র তৈরি করবে শিক্ষা বোর্ড। পাবলিক পরীক্ষার সঙ্গে মিল রেখে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণির মূল্যায়ন করা হবে। বিভিন্ন শ্রেণিতে বছরজুড়ে শিখনকালীন মূল্যায়ন থাকবে। এর পাশাপাশি বছরে দুটি সামগ্রিক মূল্যায়ন হবে।

আরো পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন হবে যেভাবে

অভিভাবকদের একটি অংশ মূল্যায়নে লিখিত পরীক্ষা রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন। এমন অবস্থায় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নপদ্ধতি চূড়ান্ত করতে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি করে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে মূল্যায়নপদ্ধতির খসড়া তৈরি করেছে এনসিটিবি।

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, এই খসড়ার ভিত্তিতে মূল্যায়ন কাঠামো চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। এখন যারা নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারা নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রথমবারের মতো পাবলিক পরীক্ষা দেবে বছর দুয়েক পরে। এর আগে চলতি বছরের শেষে পরীক্ষামূলকভাবে পাবলিক পরীক্ষার আদলে নবম শ্রেণির বার্ষিক মূল্যায়ন করা হবে।

এনসিটিবির খসড়া মূল্যায়ন কাঠামো অনুযায়ী, শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাসহ প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে। একটি অংশে হাতে–কলমের কাজে (উপস্থাপন, প্রদর্শনী ইত্যাদি) পরীক্ষার্থীদের পারদর্শিতা কতটা অর্জিত হয়েছে, তা দায়িত্বরত শিক্ষক নির্ধারিত ছকে তা পূরণ করবেন। আরেকটি অংশ পরীক্ষার্থীর লিখিত মূল্যায়ন করে পরীক্ষক নির্ধারিত ছকে পূরণ করবেন।

বিষয়ের ভিন্নতা অনুযায়ী কাগজ, পরীক্ষণ, মডেল, নকশা, গ্রাফ ইত্যাদি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা থাকবে পরীক্ষার কেন্দ্রে। শিক্ষার্থীদের নিজ প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্র হওয়ার সম্ভাবনা নেই। শিক্ষার্থীর বৈচিত্র্য ও সক্ষমতা বিবেচনা করে মূল্যায়ন বা পরীক্ষা কার্যক্রমের কৌশলে বিকল্প উপায়ও রাখা হবে।

গত বছর প্রথমবারের মতো নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়। বর্তমানে প্রথম থেকে তৃতীয় এবং ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে অধ্যয়ন করছে।

শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বয় কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, মূল্যায়নপদ্ধতি চূড়ান্ত করতে আলাপ–আলোচনা চলছে।

জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান জানান, তাঁরা মূল্যায়ন কাঠামোর খসড়াটি সংশ্লিষ্ট কমিটির সামনে ইতিমধ্যে উপস্থাপন করেছেন। আশা করছেন, শিগগিরই সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে এটি চূড়ান্ত হবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।