দাঁতের মাড়ি ফোলা রোগের সমাধান

1470551098437স্বাস্থ্য ডেস্ক: মাড়ি ফোলা সমস্যা দাঁতের ব্যথার চেয়ে কম অস্বস্তিকর নয়। এ সমস্যা যন্ত্রণাদায়কও বটে। মাড়ি ফুললে খেতে সমস্যা তো হয়ই, পাশাপাশি দাঁত মাজতেও ব্যথা লাগে।

সাধারণত মাড়ির রঙ গোলাপী থাকার কথা। কিন্তু এ রোগে মাড়ির রং বদলে যেতে পারে। ফ্যাকাশে হওয়া থেকে শুরু করে কালচে লাল বা ধূসর রং ধারণ করতে পারে। মাড়ির সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। অপুষ্টি, মুখের সংক্রমণ, দাঁতের যত্ন না নেওয়া, ভালো করে মুখের ভেতর নিয়মিত পরিষ্কার না করা প্রভৃতি।

সুতরাং জেনে নিন, দাঁতের মাড়ি ফোলা সমস্যা মোকাবেলায় উপকারী কিছু ঘরোয়া টোটকা।১ে, লবণ পানি: লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের সংক্রমণ বা জীবাণু নষ্ট হয়। ফলে অনেকটা আরাম মেলে। আর সংক্রমণ দূর হয় বলে মাড়ির ফোলাভাবটাও দ্রুত কমে যায়।

১ লবঙ্গ : দাঁতের সমস্যায় লবঙ্গ এককথায় সবচেয়ে উপকারি মসলা। দাঁতের ব্যথা হোক বা মাড়ির ফোলার সমস্যা- লবঙ্গ মুখে দিন। বেশ কিছুক্ষণ রেখে চিবুতে থাকুন। সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

২ বাবলা গাছের ডাল: এ ধরনের সমস্যা সমাধানে বাবলা গাছের ডাল খুব উপকারী। এই গাছের ডাল পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে পানি ছেঁকে নিতে হবে। তারপর সেই পানি দিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার মুখ কুলকুচি করুন। উপকার পাবেন।

৩ আদা : মুখের সংক্রমণে আদা সেই প্রাচীনকাল থেকে ঔষুধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শুধু সংক্রমণ নষ্ট করাই নয়, মুখে নতুন করে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণও আদা অনেকটা রোধ করে।

৪ লেবু পানি : ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজার আগে লেবু পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মাড়ির সমস্যা অনেকাংশে রোধ করা যায়, এমনটাই অভিমত চিকিৎসকদের।

৫ অ্যালোভেরা: ত্বক, ক্ষতর পাশাপাশি দাঁতের বা বিশেষত মাড়ির সমস্যায় চমকপ্রদ সমাধান হলো, ভেষজ উপাদান অ্যালেভেরা।

৬ সরিষার তেল : সরিষার তেলে যন্ত্রণা উপশমকারী একাধিক দ্রব্য রয়েছে। তেলের সঙ্গে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে তা মাড়িতে মালিশ করতে পারেন।

৭ চা পাতার তেল : মাড়ির সমস্যার আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপকরণ হলো চা পাতার তেল। এই তেল দাঁতের গোড়ায় মালিশ করলে ফোলা মাড়ির অস্বস্তির হাত থেকে অনেকটা নিস্তার পাওয়া যায়। এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

এরপরও মাড়ি ফোলা না কমলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।